মোল্লাহাটে দুই পুলিশ সদস্যের কান্ড!

মোল্লাহাট প্রতিনিধি

আপডেট : ০৯:৫৪ পিএম, শনিবার, ২০ মার্চ ২০২১ | ২১৪৯

প্রতিকী ছবি

মোল্লাহাট উপজেলার গাংনী ক্যাম্পের দুই পুলিশ সদস্য’র বিরুদ্ধে রক্ষকের দায়িত্ব নিয়ে ভক্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রবিবার দুপুরে উপজেলার ঘোষগাতী এলাকা হতে সিনজেন্টা কোম্পানীর কর্মকর্তা ও স্থানীয় ডিলার কর্তৃক আটককৃত একগাড়ী নকল কীটনাশক থানায় নেয়ার কথা বলে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে মাঝ পথে ছেড়ে দেয়ার এ ঘটনা ঘটে।


স্থানীয় বড়ঘাট বাজারের কীটনাশক দোকানী লিটন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, সিনজেন্টা কোম্পানীর কীটনাশকের মান ভালো হওয়ায় চাষীদের কাছে এর কদর/চাহিদা বেশী। তাই এ কোম্পানীর নামে বাহিরে নকল কীটনাশক পাওয়া যায়। ওই নকল কীটনাশকের বিরুদ্ধে সিনজেন্টা কোম্পানী তৎপর। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর গত রবিবার দুুপুরে ঘোষগাতী এলাকা হতে সিনজেন্টার নামে দশ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের এক গাড়ী নকল কীটনাশকসহ জনৈক হেলালকে আটক করে সিনজেন্টার মার্কেটিং ম্যানেজার রায়হান। এ নকল কীটনাশকসহ ওই ব্যক্তিকে আটকে ব্যাবসায়ী লিটনের সহযোগীতা নেন তিনি।


এসময় আটক হেলাল লিটনকে এক লক্ষ টাকা দিয়ে মুক্তি পেতে চায়। লিটন তাতে রাজি না হয়ে পুলিশে খবর দেয়। থানা পুলিশ আসার আগেই সেখানে পৌছান নিকটস্থ গাংনী ক্যাম্পের দুই পুলিশ সদস্য মোঃ মোখলেছুর রহমান ও মোঃ মাহাবুবুর রহমান। এদের মাঝে একজন নিজেকে দারোগা পরিচয় দেন। লোভ সামলাতে না পেরে কর্মকর্তাদের না জানিয়ে তারা তখন ওই নকল কীটনাশক ভর্তি গাড়ী ও হেলালকে থানায় নেয়ার কথা বলে মহাসড়কের কাছে চরকুলিয়া এলাকা থেকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেন। লিটন আরো জানান, এরপর থানা পুলিশ এসে অনেক খুজেছেন কিন্তু ওই গাড়ী আর পায় নাই। তিনি এ ঘটনার প্রতিকার দাবী করেন।


গাংনী ক্যাম্পের আইসি উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আবু তাহের বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন,তিনি ওই দিন বাগেরহাট ছিলেন, কে বা কারা গেছিলো বিষয়টি তিনি অবগত না। তবে, তার কাছে এ ধরনের তথ্য ফোনে আসছিলো বলে বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে স্বীকার করেন তিনি।

পুলিশ সদস্য কং/৭৩৬ মোঃ মোখলেছুর রহমান বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, তারা দুই জন ঘোষগাতী এলাকায় গেছিলেন এবং নকল কীটনাশক সংক্রান্ত বিষয়টি তাদের চোখে পড়ে, তবে তারা প্রভাবিত হয় নাই, আর কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন নাই। এরপর আর কোন প্রশ্নের সময় না দিয়ে সাংবাদিকদের থেকে দ্রæত নিজেকে আড়াল করেন তিনি।

নকল কীটনাশক পরিবেশক হেলাল মুঠো ফোনে বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, তিনি কোন নকল কীটনাশক সরবরাহ করেন না। তবে, তাকে সিনজেন্টা কোম্পানীর লোক এবং লিটন ধরে ছিলো এবং পুলিশ এসে তার গাড়ীতে নকল কিছু না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেন।


অপর দিকে সিনজেন্টা কোম্পানীর মার্কেটিং ম্যানেজার রায়হান মুঠো ফোনে বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, নকল কীটনাশকসহ ধরে ছিলেন ঠিকই, কিন্তু পুলিশের সহযোগীতা চেয়েও না পাওয়ায় ওই সকল কোম্পানীর পরিবেশকের থেকে মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় ব্যাবসায়ী ও কৃষকদের দাবী কৃষি প্রধান এ দেশে কৃষি সেক্টর ধ্বংসে নকল কীটনাশক কোম্পানীকে অর্থের বিনিময় যে, বা যারা ছেড়েছে তাদের যথাযথ আইনের আওতায় আনা উচিত।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত