সাত বছর পর পথ ফিরে পেল পরিবারটি

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা 

আপডেট : ০৯:৪৫ পিএম, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১ | ৫৬৭

ঘর থেকে বেরনোর পথেই প্রতিপক্ষরা দেয়াল তুলে দেয়। দোকান ঘরও নির্মাণ করে সেখানে। এতে চলাচলের পথ রুদ্ধ হয়ে যায় আলম জমাদ্দারের পরিবারের। ঘটনাটি ২০১৪ সালের। এর পর বিকল্প একটি সরু পথ তৈরী করে সেখান থেকে কোনোমতে চলাচল করে আসছিলেন তারা। ওই সরু পথে একজন মানুষ চলতে পারে। কিন্তু কোনো মালামাল নিয়ে যাওয়ার উপায় নেই।


অবশেষে সেই দেয়াল ও দোকান ভেঙে প্রায় সাত বছর ধরে অবরুদ্ধ থাকা পরিবারটিকে মঙ্গলবার (২২জুন) দুপুরে মুক্ত করেন ইউএনও সরদার মোস্তফা শাহিন। অমানবিক এই ঘটনাটি শরণখোলা উপজেলার প্রাণকেন্দ্র পাঁচরাস্তা মোড় থেকে মাত্র এক শ গজ দুরত্বে রায়েন্দা সেতুর সংযোগ সড়কের পাশের।


ভুক্তভোগী আলম জমাদ্দার বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, প্রতিবেশী দেলোয়ার হাওলাদার ও সবুজ হাওলাদার ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের ব্যবহার করে সাত বছর আগে (২০১৪ সালে) আমার বাড়ির সামনে পাকা দেয়াল ও দোকান ঘর তৈরী করে চলার পথ বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বহুবার জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। কয়েকদিন আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানালে তিনি আমাদের পথ বের করে দেন।

আলম জমাদ্দার বলেন, কোনো উপায় না পেয়ে বিকল্প একটি সরু পথ তৈরী করি। তা দিয়ে কোনো মালামাল বাড়ির ভিতর আনা-নেওয়া যায় না। এমনকি বাড়িতে প্রবেশের পথ না থাকায় আমার বিবাহযোগ্যা মেয়ের বিয়ে দিতে পারছি না। আমাদের মুক্ত করার জন্য ইএনও স্যারকে ধন্যবাদ জানাই।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরদার মোস্তফা শাহিন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, জায়গাটি মূলত সড়ক ও জনপথ বিভাগের। তা দখলে নেওয়ার জন্য প্রতিপক্ষরা দেয়াল ও দোকান নির্মাণ করে। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদেরকে দেয়াল ভেঙে ঘর সরিয়ে নিতে বলা হয়। কিন্তু তারা আমার কথা না রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ করে পথ বের করে দেওয়া হয়।

এব্যাপারে প্রতিপক্ষের দেলোয়ার হাওলাদার বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, ওই জমি আগে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ছিল। তাই আমরা সেখানে দোকান ঘর তুলেছি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত