শরণখোলা মাতৃভাষা ডিগ্রী কলেজ

বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের অভিযোগ ভিত্তিহীন:দাবি সেই অধ্যক্ষের

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

আপডেট : ০৫:১৪ পিএম, শনিবার, ২৪ জুলাই ২০২১ | ৫১৩

২০০১ সালের পহেলা আগষ্ট জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাগেরহাটের শরণখোলায় মাতৃভাষা ডিগ্রী কলেজে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ মো. কামরুল ইসলাম মোল্লা (চলতি দায়িত্বে)। তার সুনাম ক্ষুন্ন করতে একটি কুচক্রীমহল এমন কাল্পনিক অভিযোগ তৈরী করেছে। শনিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে শরণখোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোস উন্মোচনের দাবি করেন তিনি।


লিখিত বক্তব্যে অধ্যক্ষ কামরুল ইসলাম বলেন, কলেজের অফিস সহকারী রেজাউল ইসলাম নান্নু নিয়মিত অফিস করেন না। দীর্ঘদিন আয়-ব্যয়ের হিসাব না দিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন। আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর এসব হিসাব চাইলে তিনি এমএলএসএস আফজালকে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে ২০০১ সালের ১আগষ্ট জাতীয় নির্বাচনের পরের দিন জতির জনক ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুরের অভিযোগ তোলেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।


বর্তমানে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুরনো ছবি অফিসের জানালার পর্দার পাইপের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ কামরুল ইসলাম বলেন, ছবি দুটি যথাযথভাবে প্রদর্শনের জন্য অফিস সহকারী রেজাউল ইসলাম নান্নুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি দায়িত্ব পালন না করে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন।


জ্যেষ্ঠতা লঙ্গন করে অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, করোনা মহামারির কারণে কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করা সম্ভব হয়নি। অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদার অবসরে যাওয়ার সময় জ্যেষ্ঠ শিক্ষক চন্দন কুমার কবুলাশীকে দায়িত্ব দিতে চাইলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। যার কারণে দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে শিক্ষক পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমাকে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে, এটা বিধি বহির্ভুত বলেও স্বীকার করেন অধ্যক্ষ কামরুল ইসলাম।


অধ্যক্ষ কামরুল ইসলাম ছাত্র জীবনে ইসলামী ছাত্র শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি এখন কোনো রাজনীতি করি না। তাছাড়া, জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গেও আমার কোনো প্রকার সম্পৃক্ততা নেই।


সংবাদ সম্মেলনে অধ্যক্ষ কামরুল ইসলামসহ উপস্থিত শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধু ও প্রধান মন্ত্রীর ছবি ভাঙচুরের আসল রহস্য উৎঘাটন এবং ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের দাবি জানান।


এব্যাপারে শরণখোলা মাতৃভাষা ডিগ্রী কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল হক হায়দার বলেন, ছবি ভাঙচুরের বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া করোনার সংক্রমণ কিছুটা কমে গেলে কমিটির সভা করে বিধিগতভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব এবং পূর্ণাঙ্গ অধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত