আন্তজেলা  চোর চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার:৩টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা 

আপডেট : ০৫:০২ পিএম, শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১ | ১০০৫

বাগেরহাট গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অভিযানে আন্তজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছে। শুক্রবার রাতে জেলা সদরের বাস টার্মিনাল থেকে প্রথমে রাজু হাওলাদারকে (২৪) আটক করে ডিবি। পরে তার স্বীকরোক্তিতে শনিবার (৩১জুলাই) দুপুরে শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের পূর্ব রাজাপুর গ্রাম থেকে আশ্রয়দাতা মাওলানা ইউসুফ মুন্সিকে (৬৫) গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাকৃতদের তথ্যমতে চুরির পর বিক্রি করা ৩টি চোরাই মটরসাইকেল ক্রেতাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এদিন দুপুরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসপি কে এম আরিফুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানা যায়, আন্তজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য রাজু হাওলাদার শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের চালরায়েন্দা গ্রামের রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে। সে উপজেলা সদরের পাঁচরাস্তা মোড়ে অবস্থিত কামরুলের মোটরসাইকেল গ্যারেজের মেকানিকের কাজ করে। শুক্রবার রাতে বাগেরহাট বাস টার্মিনালে সন্দেহজনক ঘোরাফেরা করতে দেখে তাকে আটক করে ডিবি সদস্যরা। তার স্বীকারোক্তিমতে উপজেলার পূর্ব রাজাপুর গ্রাম থেকে আ. আজিজ মুন্সির ছেলে আশ্রয়দাতা মাওলানা ইউসুফকে গ্রেপ্তার করা হয়।


রাজু হাওলাদার ২০১৭ সাল থেকে এই পেশায় জড়িত। সে বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে ইউসুফ মুন্সির কাছে পৌঁছে দিত। পরে ইউসুফ মুন্সি সেগুলো বিক্রি করে তাকে ভাগের টাকা দিতেন। রাজুর নামে বাগেরহাটের বিভিন্ন থানায় ৮টি মামলা রয়েছে।


পুলিশ জানায়, উদ্ধারকৃত ৩ টি মটরসাইকেলের মধ্যে ২০১৭ সালের ৮ নভেম্বর মোরেলগঞ্জ উপজেলার দৈবজ্ঞহাটি কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তাফিজুর রহমানের বাইকটি সিড়ি রুম থেকে ও একই দিন রামপাল উপজেলার ভাগা বাজার থেকে দুলাল হাওলাদারের বাইকটি চুরি করে রাজু। একই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট শহরের আমলাপাড়া থেকে অষুধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি শেখ সোহাগ হোসেনের বাইকটি চুরি করে বাজু। এই ৩টি বাইকের প্রকৃত মালিকদের খুজে পেয়েছে পুলিশ। এই দুই সদস্যকে গ্রেফতার দেখিয়ে বিকালে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এই চোর সিন্ডিকেটের গডফাদারসহ জড়িতদের গ্রেফতার ও আরো চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা সম্ভব হবে।

জেলা পুলিশের এই প্রেস ব্রিফিংএ পুলিশ সুপার ছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধও প্রশাসন) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়াটার) মো. মিজানুর রহমান, ওসি ডিবি রেজাউল করিম, ওসি সদর কে এম আজিজুল ইসলামসহ সাংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত