জলাবদ্ধতা নিরসনে বাঁধ কেটে দিল উপজেলা প্রশাসন

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

আপডেট : ১০:৪১ পিএম, মঙ্গলবার, ৩ আগস্ট ২০২১ | ৮৮৭

অবশেষে শরণখোলার জলাবদ্ধতা নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (৩আগষ্ট) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাতুনে জান্নাতের উপস্থিতিতে এস্কেভেটর দিয়ে খোন্তাকাটা ইউনিয়নের পশ্চিম রাজৈর কালিয়ার খালের মুখের বাঁধ কেটে দেওয়া হয়।

এসময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত, উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের (সিইআইপি-১) পরামর্শক প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম, খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পর্যায়ক্রমে নয়টি পয়েন্ট থেকে বাঁধ কেটে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে বলে উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে।

এদিকে, বাঁধ কেটে দেওয়ায় পশ্চিম রাজৈর গ্রামের ঘরবাড়ি ও ফসলের মাঠ থেকে হু হু করে পানি নামতে শুরু করেছে। পানি নিষ্কাশনের কাজ শুরু হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে ওই এলাকার কয়েক হাজার পানিবন্দি মানুষ ও চাষীরা। এর আগে গত রবিবার রাতে উপজেলা ধানসাগর ইউনিয়নের পশ্চিম রাজাপুরের ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী সেখানকার বেড়িবাঁধ কেটে দেয়। গত দুদিন ধরে ওই পয়েন্ট থেকে পানি নামার কারণে বসতবাড়ি ও ফসলের মাঠের জলাবদ্ধতা অনেকটা কমেছে বলে জানা গেছে।

পশ্চিম রাজৈর গ্রামের চাষী লোকমান মোল্লা, দেলোয়ার হোসেন, সাইদুর রহমান বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে জানান, এক সপ্তাহ ধরে আমনের বীজতলা পানিতে তলিয়ে থাকায় চারায় পঁচন ধরেছে। আর দু-একদিন থাকলে এই চারা দিয়ে কোনো কাজ হবে না। বাঁধ কেটে দেওয়ায় তাদের ফসলের জমির পানি কমতে শুরু করেছে।

পূর্ব রাজৈর গ্রামের চাষী ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. আব্দুল মান্নান বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে জানান, জলাবদ্ধতায় মানুষ চরম দুর্ভোগে আছে। সময় চলে যাচ্ছে কিন্তু আমনের চাষাবাদ করতে পারছে না চাষীরা। কালিয়ার খালের মুখের বাঁধ কেটে দেওয়ায় খোন্তাকাটা ইউনিয়নের প্রায় অর্ধেক এলাকার পানি নেমে যাবে। দু-একদিনের মধ্যে চাষাবাদ শুরু করা যাবে বলে স্বস্তির নিঃশ্বান ফেলেন তিনি।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাতুনে জান্নাত বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে বলেন, পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে বাঁধ কেটে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উপজেলার মাঠঘাট ও ঘরবাড়ির জলাব্ধতা নিরসনে নয়টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব স্থানের বাঁধ কেটে পাইপ স্থাপন করা হবে।

উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের (সিইআইপি-১) শরণখোলা পরামর্শক প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে জরুরীভাবে বাঁধ কেটে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে সম্ভাব্যতা যাচাই করে যেখানে প্রয়োজন সেখানে স্থায়ী গেট নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত