মোংলা বন্দরে আইসোলেশনে থাকা বিদেশী জাহাজে দস্যুতা,  আংশিক মালামাল উদ্ধার

মাসুদ রানা,মোংলা 

আপডেট : ১১:৩৫ পিএম, শনিবার, ৭ আগস্ট ২০২১ | ৪১৮

মোংলা সমুদ্র বন্দরে অবস্থানরত সংযুক্ত আরব আমিরাতের পতাকাবাহী এম ভি ফাজা-১ জাহাজে দস্যুতা সংঘঠিত হয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে দস্যুতার মাধ্যমে পন্য বোঝাই এ জাহাজ থেকে বিভিন্ন প্রকারের মুল্যবান মালামাল নিয়ে গেছে একটি সংঘবদ্ধ দল। ইতি মধ্যে শুক্রবার রাতে চুরি হওয়া আংশিক মালামাল উদ্ধারও করেছে মোংলা থানা পুলিশ। তবে এর সাথে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি তারা। উদ্ধারকৃত ওই সকল মালামাল পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এম ভি ফাজা-১ চলতি বছরের গত ১৮ জুলাই মেশিনারী মালামাল নিয়ে মোংলা বন্দরে প্রবেশ করে ৮নং হারবারিয়া নোঙ্গরে অবস্থান নেয় জাহাজটি। এই সময় জাহাজে থাকা ফিলিপাইন ও ভারতীয় ৮ জন নাবিক এর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারনে আইসোলেসনে রয়েছে নাবিকরা।
করোনার খবর বন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগ জানার সাথে সাথে তাৎক্ষনিক ভাবে জাহাজের স্থানিয় শিপিং এজেন্ট শুন শাইন শিপিং বাংলাদেশ ও পোর্ট হেলথ বিভাগ জাহাজে থাকা সকল বাংলাদেশীদের জাহাজ থেকে নামিয়ে আনে এবং ডেক সাইটের ৮ জন বিদেশী নাবিক কে চিকিৎসার জন্য খুলনায় প্রেরণ করা হয়। এই সময় জাহাজটিতে রাশিয়ান,উক্রেন,ফিলিপাইন ও ভারতীয় নাবিকদের আংশিক করোনা পরিলক্ষিত হওয়ায় ১৫ দিনের জন্য জাহাজ ও নাবিক দেরকে কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়। অন্য আট জন নাবিক কে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনাস্থ গাজী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে চিকিৎসারত রয়েছে। জাহাজের ডেকে নাবিক সল্পতা ও ওয়াচম্যান না থাকায় মোংলার চাদপাই ইউনিয়নের বাইদ্যা পাড়া কেন্দ্রিক ১টি দস্যু দল জাহাজে লুট পাট শুরু করে। কয়েক দফায় করা লুটপাটে দস্যুরা জাহাজের ডেক সাইডের স্টোরের তালা ভেংগে মুল্যবান যন্ত্রাংশ, লৈাহজাত দ্রব্য, রং ও মবিল ভর্তি ড্রাম নিয়ে আসে। পুলিশের আতংকে দস্যুরা লুটপাটকৃত মালামাল পশুর নদীর পাড়ে বিভিন্ন বাড়ীতে জমা করে।
এলাকার গ্রামবাসীদের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোংলা থানা পুলিশ শুক্রবার রাতে চিলা ইউনিয়নের জয়মনির তেলী খালী গ্রামের চায়না হারবার জেটি সংলগ্ন একটি বাড়ী খেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় বেশ কিছু রং এর ড্রাম উদ্ধার করে।
গ্রামবাসীদের মাধ্যমে জানা যায়, চাদপাই ইউনিয়নের কানাই নগর গ্রামের বাইদ্যাপাড়া এলাকার সজীব (২৮), কবির (৩৫), সবুর (৩৩), নাজমুল (৩০), আজিজুল (২৮), আসিক (৩৪), রানা (৩৫) এই দস্যুতা সংগঠিত সাথ জড়িক বলে প্রাথমিক ধারনা করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। বন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কানাই নগর বাইদ্যাপাড়া কেন্দ্রিক কয়েকটি চোরাকারবারী ও দস্যু দলের এহেন কর্মকান্ডে বন্দর আবারো তার ঐতিহ্য হারাতে বসছে।
এ ব্যাপারে মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল বাহার চোধূরী বলেন, উদ্ধার কৃত মালামাল পুলিশের জব্দ তালিকায় নেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে এই ঘটনায় তদন্ত চলমান। তদন্তে যাদের নাম পাওয়া যাবে তাদের বিরূদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, বন্দরের সুনাম রক্ষার্থে পুলিশ সর্বদা সজাগ রয়েছে তবে যারা এর সাথে জড়িত তাদের গ্রেফতারেরও চেস্টা চলছে বলে জানায় তিনি।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত