ভোট কেন্দ্রে অনিয়ম, জালিয়াতি, পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে

মোংলায় প্রিজাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

মোংলা প্রতিনিধি

আপডেট : ০৯:২৫ পিএম, বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ৫৮৯

ভোট কেন্দ্রে অনিয়ম, জালিয়াতি, পক্ষপাতিত্ব ও এক তরফাভাবে ছেড়া কাটা রেজাল্ট বানিয়ে প্রতিপক্ষকে বিজয়ী ঘোষণার অভিযোগ তুলে প্রিজাইডিং অফিসার বিশ্বজিৎ বাড়ইর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পরাজিত প্রার্থী মোঃ মালেক ফরাজী।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় মোংলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মালেক ফরাজী বলেন, উপজেলার চিলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মেম্বর পদে ফুটবল প্রতীক নিয়ে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি ফজলুর রহমান মল্লিকের মোরগ প্রতীকের সাথে। সোমবার ন্যাজরিন মিশন কেন্দ্রে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। ভোট চলাকালে দুপুর ২টায় আমার এজেন্ট মোঃ মোসারেফ হাওলাদারের কাছ থেকে ভোটের রেজাল্ট শিটে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় প্রিজাইডিং অফিসার বিশ্বজিৎ বাড়ই। এছাড়া বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণের কথা থাকলেও সাড়ে তিনটায় ভোট নেয়া বন্ধ করে দেন। এরপর ভোট গগণার সময় আমার এজেন্টকে আটকে রাখা হয়, ভিতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। ভোট নিয়ে আমি আপত্তি জানালে আমার ব্যালট প্রতিপক্ষ ফজলুর রহমান মল্লিকের মোরগ প্রতীকের বান্ডিলের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয়। রেজাল্ট শিটে কাটাকাটি করে আমার প্রাপ্ত ভোট গোপন করে প্রিজাইডিং অফিসার বিশ্বজিৎ বাড়ই প্রতিপক্ষকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এ সংবাদ সম্মেলনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী ও স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মালেক ফরাজী। তিনি বলেন, অনৈতিক সুবিধা নিয়ে যাকে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়েছে সে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবি দলের সভাপতির পদ ছেড়ে সদ্য আওয়ামীলীগে যোগ দিয়েছেন। এতে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে।


তিনি বলেন, পুনরায় ভোট গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদারের কাছে আবেদন করলে তিনি আমাকে প্রথমে আশ্বস্ত করে পরবর্তীতে আবেদন খারিজ করে দেন। ইউএনও কমলেশ মজুমদার অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তার আপত্তি থাকলে তিনি নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে পারেন।


চিলা ইউনিয়নে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামকেও ভোট গগণার জন্য আবেদন করা হয়। তিনি আবেদন গ্রহণ করেননি। এ বিষয়ে জাহিদুল ইসলাম বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরেকে বলেন, পুনরায় ভোট গণনা করার আমার কোন এখতিয়ার নাই। তিনি এ নিয়ে মামলা করতে পারেন। আর রেজাল্ট সিটে কাটাকাটির বিষয়ে তিনি বলেন, এর দায়দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসারের।


এ প্রসঙ্গ প্রিজাইডিং অফিসার মোংলার দিগরাজ বাজার জনতা ব্যাংক শাখার কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ বাড়ই বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরেকে বলেন, ভোট সুষ্ঠু হয়েছে, কোথাও কোন ধরণের অনিয়ম করা হয়নি। রেজাল্ট সিট কাটাকাটির বিষয়ে কোন উত্তর না দিয়ে তিনি ফোন রেখে দেন। এরপর বার বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত