শাখারিকাঠী বাজারে গনহত্যার দিবসে - যুগ্ন সচিব ডা.দুলাল কৃষ্ণ রায়

বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাবেন মুক্তিযুদ্ধ স্মার্ট কার্ড

শুভংকর দাস বাচ্চু,কচুয়া 

আপডেট : ০৯:৫৩ পিএম, শুক্রবার, ৫ নভেম্বর ২০২১ | ৮৭৮

১৯৭১ সালে ৫ নভেম্বর শাখারিকাঠী বাজারে যাদের গণ হত্যা করা হয়েছে তাদের নামের স্মৃতি ফলক নির্মান করা হবে। বর্তমান সরকার দুই লক্ষ মুক্তিযোদ্ধাদের ২০ হাজার টাকা মাসিক সম্মানি ভাতা দিচ্ছেন। বীর মুক্তিয়োদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধ স্মার্ট কার্ড পাবেন এবং বিনা ভাড়ায় যানবাহনে চলাচল করতে পারবেন।


কচুয়ার বাধাল ইউনিয়নের শাখারিকাঠী গণহত্যা দিবস উদ্যাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ের যুগ্ন সচিব ডা.দুলাল কৃষ্ণ রায় একথা বলেন। এসময় নিহতদের পরিবারে পক্ষ থেকে তাদের নাম শহীদ মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর ভুক্তির দাবি জানান।


শুক্রবার বিকাল ৫টায় রঘুদত্তকাঠী ভক্ত নিমাই সেবা আশ্রমে বীর মুক্তিযোদ্ধা নিমাই চন্দ্র দাসের সার্বিক আয়োজনে কচুয়া প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক কাজী সাইদুজ্জামান সাইদ এর সঞ্চালনায় বাধাল ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলতাফ হোসেন কোতোয়ালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা নির্বাহী অফিসার জীনাত মহল, অফিসার ইনচার্র্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম।

নিহতদের পক্ষে মসনী গ্রামের মুক্তারানী দাস বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পার হলেও আজ পর্যন্ত সরকারি ভাবে তেমন কোন অনুদান আমরা পায়নি। আমরা শহীদ মুক্তিযোদ্ধার অধিকার পাওয়ার জন্য মননীয় প্রধান মন্ত্রীর নিকট দাবি জানাচ্ছি। তিনি রাজাকারদের বিচার করেছেন এ জন্য আমরা চির কৃতজ্ঞ।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার হৃষিকেশ দাস, সহকারী কমান্ডার শেখ মশিউর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ফজলে সাঈদ ডাবলু, কচুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাধাল ইউপি চেয়ারম্যান নকিব ফয়সাল অহিদ, সাবেক চেয়ারম্যান খান আ. কাদের।

বীর মুক্তিযোদ্ধা নিমাই চন্দ্র দাস বলেন, ১৯৭১ সালের ৪ নভেম্বর (বাংলা ১৭ই কার্ওিক) রাতে মোড়েলগঞ্জের দৈবজ্ঞহাঠীতে রাজাকারদের ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধারা হামলার পরিকল্পনা করে এবং হামলা চালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু প্রচন্ড বৃষ্টির কারনে ব্যর্থ হয়। এর জের ধরে পরদিন ৫ নভেম্বর (বাংলা ১৮ই কার্ওিক) শুক্রবার বিকালে শাখারিকাঠী বাজারে হাটের সময় স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্থানি দোষরদের সহযোগী রাজাকারেরা এলাকার মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারন মানুষ সহ ৯০ জনকে একই সাথে হাতে হাত বেধে সারি বদ্ধভাবে দাড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে। এদের মধ্যে ঘটনাস্থলে ৪২ জন সনাতন ধর্মীয় লোক শহীদ হন। তাদের মৃতদেহ একই সাথে বেধে খালের ভিতর দিয়ে টেনে নিয়ে পাশবর্তী মোড়েলগঞ্জ উপজেলার রামচন্দ্রপুর বিশখালী নদীর চরে এক সাথে মাটি চাপা দেয়। ওই সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে অনেকেই পলিয়ে গিয়ে ছিল তারা অঙ্গহীন অবস্থায় কিছু দিন বেঁচে থেকে মৃত্যু বরণ করেন।

তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছর অতিবাহিত হলেও আজও অযতœ অবহেলায় পড়ে আছে শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভ। আলোচনা শেষে স্থানীয় ও বিভিন্ন শিল্পীরা বিভিন্ন সংঙ্গীত পরিবেশন করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত