দুই সৌদি প্রবাসীর বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ
শরণখোলায় সংঘর্ষে ১১ জন আহত
আপডেট : ০৯:১৮ পিএম, সোমবার, ২১ মার্চ ২০২২ | ১০২৪
শরণখোলায় দুই প্রবাসীর বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১১জন আহত হয়েছেন।আহতদের মধ্যে তিন জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলা সদরের হাসপাতালের সামনে সৌদি প্রবাসী জামাল নূর হাওলাদার এবং অপর সৌদি প্রবাসী ফরিদ উদ্দিন মানিক হাওলাদার পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জামাল পক্ষের আহতরা হলেন শফিকুল হাওলাদার (৫০), সোবাহান হগাওলাদার (৪৮), জাকির হাওলাদার (৩০), রনি হাওলাদার (২২), আ. রহিম হাওলাদার (১৮), রবিউল হাওলাদার (৩৫) এবং ইমন হাওলাদার (২২)। এদের মধ্যে শফিকুলের বাম পা এবং সোবাহানের কলারবোন ভেঙে গেছে। এই দুজনকে খুলনা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। বাকি পাঁচ জনকে শরণখোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রতিপক্ষ মানিক হাওলাদার গ্রুপের মাথায় গুরুতর জখম আসলাম হাওলাদারকেও (৪৫) পাঠানো হয়েছে খুলনা মেডিক্যালে। এছাড়া, ফরিদ উদ্দিন মানিক, জাকির হোসেন ও নান্না মিয়া তালুকদার স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সৌদি প্রবাসী জামাল নূরের ভাই আ. সালাম হাওলাদার জানান, পাশাপাশি জমির সীমানা নিয়ে তাদের সঙ্গে মানিক হাওলাদারের বিরোধ চলছে। আগামীকাল মঙ্গলবার (২২ মার্চ) জমি মেপে উভয় পক্ষের সীমানা নির্ধারণের কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই মানিক গ্রুপ জোরপূর্বক বিরোধপূর্ণ জমিতে পাকা ইমারত (বিল্ডিং) নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এতে বাধা দিলে তারা দা, লাঠিসোটা, লোহার রড নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অপরদিকে প্রতিপক্ষের মানিক হাওলাদার বলেন, আমার বাড়ির মধ্যে জামালের কোনো জমি নেই। আমি আমার সীমানার মধ্যেই বসবাস করছি। কিন্তু তারা গায়ের জোরে আমার মধ্যে জমি দাবি করছে। আমার বাড়ির মধ্যে জোরপূর্বক প্রবেশ করে কেয়ারটেকার আসলামকে পিটিয়ে মাথার হাড় ভেঙে দিয়েছে। পরবর্তী হামলার ভয়ে আমরা তিন জন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছি।
শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. আশফাক হোসেন জানান, হাসপাতালে ৮জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর তিন জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুমেকে রেফার্ড করা হয়েছে।
শরণখোলা থানার ওসি মো. সাইদুর রহমান জানান, তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।