নিত্য পণ্যের দাম ক্রেতার নাগালের বাইরে 

রামপাল প্রতিনিধি

আপডেট : ০৩:৪৪ পিএম, সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০২২ | ৮৫১

প্রতি বছর রমজান এলেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। রামপালের বাজারে প্রায় সব পণ্যের দাম আরেক দফা বৃদ্ধি পেয়েছে রোজার আগের দিন থেকে। ছোলা, চিড়ার দাম মোটামুটি স্বাভাবিক থাকলেও চিনির দাম একটু বেড়েছে। তবে পেঁয়াজের মূল্য কেজি প্রতি ৪-৫ টাকা বেড়ে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রসুন ৫০ টাকা। তবে রোজার জন্য অতি প্রয়োজনীয় সবজি হিসাবে পরিচিত বেগুন ও শসার দাম কেজিতে ২০ ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

সোমবার কয়েকটি বাজার ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে মানভেদে বেগুন প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত ৪ দিন আগে ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। শুক্রবার শসা বিক্রি হয়েছে ২৫ টাকা, ৪ দিনের ব্যবধানে ৭০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। আলুর দাম স্থিতিশীল থাকলেও পটল, চিচিঙ্গা, ধেড়স, সজনে ও মিষ্টি কুমড়ার দাম কেজিতে ৬/৭ টাকা বেড়ে ৪০/৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৬৫০ টাকা, খাসি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। দেশী মুরগী ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হলেও ব্রয়লার মুরগী ১৫০ টাকা। সোনালী ২৫০/২৬০ টাকা। চাল, আটা, তেল, ডাল, চিনির দাম স্থিতিশীল থাকলেও মশলার দাম বেড়েছে। মুড়ি ১২০ টাকা, আদা ১৫০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিড়া ও বেসন যথা ক্রমে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। মাছের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে বিক্রেতারা। টেংরা, শোল, ভেটকি, পাবদা, ছোট ইলিশ, পার্সে মাছের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। তবে চাষের পাঙ্গাস, লায়লটিকা, পুটি মাছসহ অন্য মাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। ক্রেতারা জানিয়েছেন, বাজার মনিটরিং না কারায় লাগামহীনভাবে দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

সদর কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী শহীদ, নূর জামালসহ অন্যরা জানায়, খুলনার মোকামে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও অতিরিক্ত দামে মালামাল কিনতে হচ্ছে। তবে রোজা পাঁচ অথবা ছয়টি অতিক্রম করলে পণ্যের দাম কিছুটা কমবে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। পেড়িখালী বাজারে আসা মাষ্টার নাজমুল হুদা জানান, রমজান এলে পাইকারী ব্যবসায়ীরা মূল্যবৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় নামেন। এর ফলে সাধারণ ক্রেতাদের পকেট কাটা হয়। এটা দেখভালের দাাায়িত্বে নিয়োজিতদের মনিটরিং জোরদার করার দাবী জানান তিনি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত