মোংলা পোর্ট পৌরসভার বিজ্ঞাপন নিয়ে স্বজন প্রীতির অভিযোগ
পত্রিকায় মোংলা পোর্ট পৌরসভার বিজ্ঞাপন ছাপা নিয়ে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। মেয়রকে ভুল বুঝিয়ে গোপনে কারসাজী করে পৌরসভারই অস্থায়ী (মাষ্টাররোল) দুই কর্মচারী তাদের দুইটি পত্রিকায় এককভাবে পৌরসভার বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে যাচ্ছেন। এনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে পৌরসভার কর্মচারী হয়ে কিভাবে এমন কাজে হস্তক্ষেপ করেন তারা? ওই দুইটি পত্রিকাতেই ধারাবাহিকভাবে পৌরসভার টেন্ডারসহ নানা ধরণের বিজ্ঞাপন ছাপা নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যেও ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
পৌরসভার নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী ফাহিম হাসান অন্তর নিয়োগ পেয়েই একক আধিপত্য বিস্তার করেছেন। তার ইসারা ছাড়া কোন কাজের সিদ্ধান্ত নিতে দেয়া হয়না। পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ কাজেও রয়েছে তার মাথাব্যথা। পৌরসভার নিয়োগ থেকে শুরু করে সকল কাজ করতে হয় তার কথা অনুযায়ী। এমন কি মেয়রও তার কথার বাইরে যান না বলেও শোনা যায়। পৌরসভার বিজ্ঞাপন বিভাগও অন্তরের বাইরে নয়। কোন বিজ্ঞাপন কোথায় যাবে সেটি ঠিক করে দেয় মেয়রের এই ব্যক্তিগত সহকারী। বিজ্ঞাপনের কমিশন বাণিজ্য নিজের পকেটে রাখতেই নিজেই গুছিয়েছেন একটি পত্রিকা। ঢাকা থেকে প্রকাশিত ওই পত্রিকাটি দেশের সেরা ১০ টি পত্রিকার তালিকায় না থাকলেও ব্যক্তিগত সহকারী ক্ষমতা বলে কথা। ব্যক্তিগত সহকারী অন্তরের ওই পত্রিকাতেই নিয়মিত বিজ্ঞাপন দিতে এক প্রকার বাধ্য হচ্ছে পৌরসভা।
একইভাবে বিজ্ঞাপন ভাগিয়ে নিচ্ছেন পৌরসভার অন্য আরেক কর্মচারী এরশাদ হোসেন রনি। প্রকৌশল বিভাগের কার্য সহকারী হিসেবে অস্থায়ী ভিত্তিতে চাকুরী হলেও নজর তার বিজ্ঞাপনের দিকেই। তারও রয়েছে যশোরের একটি আঞ্চলিক পত্রিকা। উল্লেখযোগ্য ধারবাহিক বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে কমিশন বাণিজ্য করে এই দুই কর্মচারী ফুলে ফেঁপে উঠেছেন। মূলত তাদের দুইটি পত্রিকার বাইরে সম্প্রতি পৌরসভার কোনও বিজ্ঞাপন ছাপা হচ্ছেনা।
এ বিষয়ে কথা হলে অন্তর ও এরশাদ বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষই তাদেরকে বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন, এখানে কি করার আছে তাদের। স্বজনপ্রীতি করা হচ্ছে না বলেও দাবী করেন তারা।
পৌরসভার সচিব অমল কৃঞ্চ সাহা বলেন, মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী অন্তর ও কার্য সহকারী এরশাদ যে পত্রিকায় কাজ করে তা আমার জানা নেই। বিজ্ঞাপন নিয়ে আর কারসাজী করতে দেয়া হবেনা বলেও জানান তিনি।
পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলনা, এখন থেকে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়ার বিষয়টি কঠোরভাবে দেখা হবে।