৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দেশের মৎস্য সম্পদ লুটে নিচ্ছে ভারতীয় জেলেরা

৮টি ভারতীয় ফিশিং ট্রলারসহ ১২৭ জেলে আটক

মাসুদ রানা,মোংলা

আপডেট : ১১:০৯ পিএম, মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২ | ৪০২

সমুদ্র জুড়ে চলছে সরকারের দেয়া ৬৫ দিনের মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা কিন্ত বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমায় অবৈধভাবে অনু-প্রবেশ করে সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির মাছ লুটে নিচ্ছে ভারতীয় জেলেরা। অবৈধভাবে মাছ শিকারের অভিযোগে ৮টি ফিসিং ট্রলারসহ ১২৭ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে নৌবাহিনীর সদস্যরা। সোমবার রাতে বঙ্গোপসাগরের আদুরে বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে তাদের জাল, মাছ বোঝাই ট্রলার ও মালামালসহ তাদের আটক করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলেদের নিয়ে মোংলায় না পৌছালেও রাতে জেলেদের মোংলা থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে। ভারতীয় জেলেদের ট্রলারসহ আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোঃ জাহিদ হোসেন।
নৌবাহিনীর বরাত দিয়ে মৎস্য কর্মকর্তা জানায়, বাংলাদেশ সরকার ইলিশ সহ সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষে সকল প্রকার মাছ ধরার উপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। কিন্ত দেশীয় জেলেরা অনাহারে থেকে তাদের সম্পদ রক্ষার চেষ্টা করলেও ভারতীয় জেলেরা প্রতিনিয়ত এ সম্পদ লুটে নিচ্ছে। তাই নৌবাহিনী তাদের নিয়মিত টহলরত অবস্থায় ‘অভিযানকারী জাহাজে থাকা সদস্যরা বেশ কয়েকটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলারসহ জেলেদের বঙ্গোপসাগরের গভীরে মাছ ধরতে দেখতে পায়। এসময় ওই সকল জেলেদের ধাওয়া করলে অন্য জেলেরা ভারতীয় সিমানায় দ্রুত পালিয়ে গেলেও ১২৭ জন ভারতীয় জেলে সহ ৮টি ফিশিং ট্রলার আটক করতে সক্ষম হয় তারা। গত বছরও এ মৌশুমে বেশ কয়েকটি ট্রলার সহ প্রায় ৩ শতাধিক ভারতীয় জেলে আটক হয়েছিল নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যদের হাতে।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, ৮টি ট্রলার ও ১২৭ জন ভারতীয় জেলে আটকের খবর মৎস্য বিভাগ ও নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। প্রথম বহড়ে আটক ৪টি ট্রলারে ৬৭ জন ভারতীয় জেলে ও দ্বিতীয় বহড়ে ৪টি ফিশিং ট্রলারে ৬০ জন জেলে রয়েছে বলে জানায় গেছে। মঙ্গলবার রাত ১১টার নাগাদ মোংলা থানায় হস্তান্তর করেনি, তবে গভির রাত হলেও তাদের থানায় দেয়া হবে বলেও জানায় তিনি। থানায় আনার পরে এ সকল জেলেদের বিরুদ্ধে ১৯৮৩ সালের সামুদ্রিক মৎস্য অধ্যাদেশের ২২ ধারায় মামলা দায়ের করা হবে। মঙ্গলবার (২৯ জুন) সকালে আটক জেলেদের বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হবে বলেও জানায় পুলিশের এ কর্মকর্তা।
মোংলা সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, আটক ৮টি ভারতীয় ফিশিং ট্রলারে সামুদ্রিক মাছ রয়েছে। এ মাছগুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদারের নির্দেশনায় নিলামে বিক্রি করা হবে। বর্তমানে জেলে সহ ভারতীয় এ সকল ফিশিং ট্রলারগুলো মোংলার দিগরাজ নৌঘাটিতে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে, থানায় হস্তান্তেরের পর ট্রলার ও জেলেদের নাম পরিচয় ও মাছের বিবারণ জানানো হবে বলেও জানায় এ মৎস্য কর্মকর্তা।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত