জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিবন্ধী যুবককে মারধর
আপডেট : ১২:৩৪ এএম, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২ | ৪২০
মোরেলগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মোঃ মোস্তফা আলম হাওলাদার (৩০) নামের এক প্রতিবন্ধী যুবককে মারধর করেছে প্রতিপক্ষরা। মঙ্গলবার (০৫ জুলাই) বিকেলে উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের কদমরসুলের পাড় গ্রামের পাড়কুমার খালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে এই মারধরের ঘটনা ঘটে। আহত মোঃ মোস্তফা আলম হাওলাদার বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। চোখের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। আহত মোঃ মোস্তফা আলম হাওলাদার কদমরসুলের পাড় গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ রফিকুল আলম হাওলাদারের ছেলে।
আহত মোঃ মোস্তফা আলম হাওলাদার বলেন, বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় দিয়ে হাটছিলাম। হঠাৎ করে স্থানীয় লিটু শেখের ছেলে রাহাত শেখ(২০) বড় দাও নিয়ে আমার পথ আটকে দেয়। বলে আমাদের বিরুদ্ধে তোর বাবা মামলা করেছে কেন? উত্তরে আমরা কোন মামলা করিনি বলার সাথে সাথে দাও দিয়ে কোপানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে দাও রেখে আমার নাকে, মুখে ও চোখে ঘুষি মারে। এসময়, রাহাতের চাচা মিন্টু শেখও এসে আমাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে গেলে তারা চলে যায়। আমি একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী, আমাকে এভাবে মারল। এই হামলাকারীদের বিচার চাই আমি।
অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ রফিকুল আলম হাওলাদার বলেন, স্থানীয় মেজবাউল হক সোহাগের নির্দেশে মিন্টু ও তার ভাতিজা রাহাত আমার ছেলেকে মারধর করেছে। মূলত মেজবাউল হক সোহাগ চায় আমি জমি-জমা ফেলে বাড়ি থেকে চলে যাই, এই জন্যই এই হামলা করিয়েছে। আমার ছেলের চোখের অবস্থা খুব খারাপ, বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে বলেছেন। কি হবে জানিনা। ছেলেকে সুস্থ্য করে, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করব। আমার প্রতিবন্ধী ছেলেকে মারধরের বিচার চাই আমি।
মোঃ রফিকুল আলম হাওলাদার আরও বলেন, মেজবাউল হক সোহাগ আমার চাচাতো ভাই। ২০১২ সালে তার কাছ থেকে কবলা দলিলে ১ একর ৪০ শতক জমি ক্রয় করি। সেই থেকে ওই জমি আমি ভোগদখল করে আসছি। কিন্তু হঠাৎ করে মেজবাউল হক সোহাগ ওই জমি ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য আদালতে মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে আমাদের উপর নানা রকম অত্যাচার নির্যাতন শুরু করে মেজবাউল হক সোহাগ। আমার ক্রয়কৃত ও পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে নারকেল, সুপারি পেরে নেয়। আমাদেরকে মেরে ফেলার হুমকী দেয়। এমনকি তার স্ত্রী দিয়ে নারী নির্যাতন মামলা দেওয়ারও হুমকী দিচ্ছে। আমি এই অন্যায় থেকে মুক্তি চাই।
এবিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত মেজবাউল হক সোহাগকে বার বার ফোন করা হলেও তার ফোন নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।