বাগেরহাটে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার উপর হামলা

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ০৬:৪৯ পিএম, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২ | ৬২৭

বাগেরহাটে সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইমরান হোসেনের উপর হামলা করেছে দূবিত্তরা। সোমবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার পাইকপাড়া এলাকায় সভা শেষে ফেরার পথে পোলঘাট-বাজনদার মোড় এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় গাড়ির মধ্যে ডা. ইমরান ছাড়াও প্রাণি সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সিলভিয়া আফরিন বৃষ্টি ছিলেন। দূবিত্তরা চলমান গাড়ির উপর ইট ছুড়ে মারে এবং লোহার রড দিয়ে বাড়ি মারে। জীবন বাঁচাতে দ্রুত গাড়ি নিয়ে পালিয়ে আসেন তারা। হামলাকারীদের ছোড়া ইটে মিটশুবেশি ডাবল কেবিন সরকারি গাড়িটির পিছনের গ্লাস ভেঙ্গে যায় এবং সামনের কিছু অংশ বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। অনিয়মের অপরাধে শোকজ করায় প্রাণি সম্পদ মাঠ সহকারি মোঃ আজিম খান এই হামলার করিয়েছেন বলে দাবি ডা. ইমরান হোসেনের। এ ঘটনায় রাতেই প্রাণি সম্পদ মাঠ সহকারি মোঃ আজিম খানসহ অজ্ঞাতনামা ৬-৭জনকে আসামী করে বাগেরহাট মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন ডা. ইমরান হোসেন।

এদিকে ডা. ইমরান হোসেন ও সিলভিয়া আফরিন বৃষ্টির উপর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করেছেন। দুপুরে প্রতিবাদ সভা করেন তারা। প্রতিবাদ সভায় প্রাণি সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হোসেন, উপসহকারী প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা শেখ হারুন অর রশিদ, মল্লিক শাহীন আকতার,দীপক কুমার দাস, সেখ একরামুল কবিরসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।


এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের এক কর্মচারি বলেছেন, ডা. ইমরান হোসেন দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে গ্লাম্য পশু চিকিৎসকদের পশু চিকিৎসা বন্ধ করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। উপসহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ও মাঠ সহকারিদেরও পশু চিকিৎসা বন্ধ করতে বলেছেন। অন্যদিকে ডা. ইমরান হোসেন নিজে পশু চিকিৎসা প্রদান করলে অতিরিক্ত টাকা গ্লহন করেন। যার কারণে কিছু মানুষ তার উপর ক্ষ্যাপা ছিল। এই কারণে হামলার ঘটনা ঘটতে পারে।


এছাড়াও বারুইপাড়া ইউনিয়নের কোদলা গ্লামের শ্যামল নামের এক খামারির গরুর চিকিৎসা দিয়ে ৭ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়ার অভিযোগে ডা. ইমরান হোসেনকে শোকজ করেছিলেন জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান।

বাগেরহাটে সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইমরান হোসেন বলেন, প্রাণি সম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রাণি সম্পদ মাঠ সহকারি মোঃ আজম খান অনেকদিন ধরে অনিয়মিত ছিলেন। তাকে কয়েকবার মৌখিকভাবে সতর্ক করা হলেও, তিনি সংশোধন হননি। যার কারণে তাকে শোকজ দেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মোঃ আজম খান আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকী দেয়। সেই অংশ হিসেবেই সোমবার রাতে কাজ শেষে ফেরার পথে মোঃ আজম খান তাদের লোক দিয়ে আমার উপর হামলা করায়। গাড়ি থেকে নামলে হয়ত আরও বেশি কিছু হতে পারত।


অভিযুক্ত প্রাণি সম্পদ মাঠ সহকারি মোঃ আজম খান বলেন, আমি এই হামলার সাথে জড়িত নয়। স্যারের উপর যখন হামলা হয়েছে তখন আমি যাত্রাপুর বাজারে ছিলাম, সেখানে একটি দোকান থেকে ৫‘শ টাকা বিকাশও করেছিলাম। কিন্তু আমাকে শুধু শুধু ফাঁসানো হচ্ছে।


বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আমরা আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত