বিদেশী জাহাজ থেকে যন্ত্রাংশ পাচারের সময় অস্ত্র সহ ৩ দৃর্বৃত্ত আটক 

মোংলা বন্দরের বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজ থেকে মুল্যবান মালামাল পাচারের সময় অস্ত্র সহ ৩ দুর্বৃত্তকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। আটক এ ৩ জনের মধ্যে থেকে দুই জনকে শুক্রবার রাতে মোংলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে এ দুই জনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। কোস্টগার্ড কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুর রহমান এ তথ্য জানান।

পুলিশ জানায়, ২৩ ডিসেম্বর শুক্রবার রাতে বন্দরের পশুর চ্যানেলে অবস্থারত বিদেশী জাহাজ থেকে মুল্যবান মালামাল পাচার হচ্ছে এমন গোপন খবর আসে কোস্টগার্ডের কাছে। এ সংবাদের সুত্রধরে মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের এক দল সদস্যরা সুন্দরবন সংলগ্ন বন্দর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায় তারা। এসময় একটি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে পাচার করে আনা ১টি ইঞ্জিন চালিত বোট বোঝাই করে মেশিনারিজ পণ্য যা (গোল্ডেন ব্রিজ ওয়েল্ডিং মেটারিয়াল ২২ বক্স, মেটালিক ফ্যান লোবার ৯টি, জয়েন্ট বুশ ১০টি সহ অন্যান্য মুল্যবান যন্ত্রাংশ) রয়েছে। কোস্টগার্ড’র উপস্থিতি বুঝতে পেরে পশুর নদী দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া করে এ সকল মালামাল জব্দ করা হয়।

এসময় পাচারের কাজের সাথে জড়িত থাকায় মোংলা পোর্ট পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা পাচারকারী আল-আমিন (৩৪), আখি হল সংলগ্ন এলাকার আশিক (৩২) ও আরিফ (২৮) নামের এ তিন জনকে আটক করা হয়। তাদের শরীর তল্লাশী করে নগদ ১ লাখ ৩২ হাজার ১৬০ টাকা ও ইয়াবা সেবনের ফয়েল পেপার উদ্ধার করে কোস্টগার্ড।

আটককৃত ৩ জনের মধ্যে মোঃ আরিফ ছাড়া আল-আমিন ও আশিককে শুক্রবার রাতে মোংলা থানায় হস্তান্তর করে কোস্টগার্ড সদস্যরা। তবে তাদের প্রেস লিষ্ট ও ফটোশেসনে তিন দুর্বৃত্তদের সম্বলিত ছবি প্রকাশ করে কোস্টগার্ড। কিন্ত থানায় হস্তান্তর করেছে শুধু মাত্র আল-আমিন ও আশিককে। হয়তোবা কারা বন্দরের দেশী-বিদেশী জাহাজের চুরি-ডাকাতি বা তেল পাচারের সাথে জড়িত সে জন্য মুল পাচারকারীদের গ্রেফতারের আশ্বাসে আসামী আরিফকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য রেখে দেয়া হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় অনেকেই।

তবে আটক ৩ সহযোগীদের মধ্যে একজনকে রেখে দুই জনকে আদালতে পাঠানো নিয়ে উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছে তার পরিবারের সদস্যরা। আদালতে পাঠানো আল-আমিন ও আশিক এ দুই দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে জাহাজ থেকে মুল্যবান মালামাল পাচার ও চুরি ছাড়াও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগে থানায় বেশ কয়েকটি মামলাও রয়েছে এবং মাস খানেক আগে জেল হাজতেও ছিলো। মোংলা থানায় হস্তান্তর করলে শনিবার মামলা দায়ের শেষে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ মনিরুল ইসলাম বলেন, কোস্টগার্ড আটকের পর দুই জনকে মোংলা থানায় হস্তান্তর করলে দুপুরে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সুন্দরবনে আবারও বন দস্যুর তৎপরতা বেড়েছে তাই সুন্দরবন সহ নদী ও খালে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। পাচারকারী ও বন দস্যুদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানায় এ কর্মকর্তা।