ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস আজ

খোন্দকার নিয়াজ ইকবাল

আপডেট : ১০:৪৫ এএম, মঙ্গলবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৮ | ১৬৭৩

ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস আজ। এ উপলক্ষে বাগেরহাট জেলার প্রতিটি উপজেলায় আলোচনা সভা ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শণ সহ নানা কর্মসুচি গ্রহন করা হয়েছে। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর তিন সপ্তাহের মাথায় নির্বাচিত প্রনিধিদের নিয়ে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথ তলায় শপথ গ্রহণ করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার। এই সরকারের নেতৃত্বেই পরিচালিত হয় মুক্তিযুদ্ধ, ৯ মাসের সংগ্রামের মধ্যদিয়ে আসে চূড়ান্ত বিজয়। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এই সরকার গঠন স্বাধীনতা অর্জনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেন ইতিহাসবিদ-গবেষকগণ।

একাত্তরের পঁচিশেমার্চ নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পাকিস্তানী বাহিনীর বর্বরোচিত গণগত্যা শুরুর পর থেকেই প্রতিরোধ লড়াই শুরু হয় দেশের বিভিন্ন এলাকায়। যার নির্দেশনা ৭ই মার্চের ভাষণেই দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব।

দেশের ভেতর যখন প্রতিরোধ লড়াই চলছে তখন ৭০ এর নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের নেতারা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠনে তৎপর। বঙ্গন্ধুর পূর্ব নির্দেশ অনুযায়ী সীমান্তে পৌঁছে সংগঠিত করেন জনপ্রতিনিধিদের। মাত্র দু সপ্তাহের প্রচেষ্টায় ১০ই এপ্রিল গঠিত হয় প্রবাসী সরকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি ও তাজউদ্দিন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী, এম মনসুর আলীকে অর্থমন্ত্রী, এই এচ এম কামরুজ্জামানকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং খন্দকার মোস্তাক আহমেদকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করে সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকার ঘোষণা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।

এরপর ১৭ই এপ্রিল প্রায় ৫০জন বিদেশী সাংবাদিক ও হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের মুক্তাঞ্চল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথ তলায় আম বাগানে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে এই সরকার, যা পরবর্তীতে পরিচিত হয় মুজিবনগর সরকার নামে।

নয় মাস পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি থাকলেও বঙ্গবন্ধুর পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনাতেই যুদ্ধ চলেছে বলে মনে করেন গবেষকরা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত