আজ মোংলা ও সুন্দরবন উপকূল মুক্ত দিবস

মাসুদ রানা,মোংলা  

আপডেট : ১০:৪৮ পিএম, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৩১০

আজ ৭ ডিসেমম্বর বৃহস্পতিবার মোংলা ও সুন্দরবন উপকূল মুক্ত দিবস। ১৯৭১সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনীকে হটিয়ে এ এলাকা শত্রুমুক্ত করেন।
মোংলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ও বর্তমান পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আঃ রহমান জানান, মুক্তিযুদ্ধের ৯নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর এম,এ জলিল, সাব সেক্টর কমান্ডার মেজর জিয়া উদ্দিন আহমেদ ও কবির আহমেদ মধুর নেতৃত্বে ৭ডিসেম্বর মোংলা বন্দর ও সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকা সম্পূর্ণভাবে শত্রুমুক্ত হয়। তিনি বলেন, তখন সুন্দরবনে স্থাপিত ৫টি ক্যাম্পে সেনা কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধায়নে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের দেয়া হতো প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা সেখান থেকে সুবিধা মতই আক্রমণ চালাতেন মোংলা, মোড়েলগঞ্জ, রামপাল, শরণখোলা ও পিরোজপুরসহ বিভিন্ন এলাকার পাকবাহিনীর ক্যাম্পগুলোতে। এছাড়া ওই সময়ে মোংলা বন্দরের পশুর নদীতে থাকা পাক হানাদার বাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ এম,ভি মাকরনও ধ্বংস করা হয়।
দীর্ঘকাল পরে হলেও মোংলা পোর্ট পৌরসভার পক্ষ থেকে পৌর পার্ক এলাকায় নির্মিত হয়েছে একটি যুদ্ধ জাহাজ সংবলিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ ও আরেকটি বিজয় স্তম্ভ।
ওই সময়ে পাক হানাদাররা নৃশংস গণহত্যা চালায় এ এলাকার নিরীহ মানুষের উপর। এখনো সেই গণহত্যার স্মৃতি বহন করছে মোংলার দামেরখন্ড ও রামপালের ডাকরার বধ্যভূমি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আঃ রহমান আরো বলেন, আমরা যারা ৯ম সেক্টরের অধীনে ছিলাম তাদের নেতৃত্বে ছিলেন সুন্দরবন অঞ্চলের সাব সেক্টর কমান্ডার মেজর জিয়া উদ্দিন আহমেদ। মেজর জিয়া, মুক্তিবাহিনী ও নৌ কমান্ডের ত্রিমাত্রিক আক্রমণে পিছু হটতে বাধ্য হয় পাক সেনারা। এখানে ওই সময় উপরে পাক সামরিক বাহিনী ও নদীতে নৌঘাটিতে অবস্থান ছিলো তাদের। পশুর নদীতে পাক বাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ মাকরনে মাইন বসিয়ে তা ডুবিয়ে দেয় মুক্তি নৌ কমান্ডের সদস্যরা। এরমধ্য দিয়েই ৭ডিসেম্বর পুরোপুরি হানাদার মুক্ত হয় মোংলা ও সুন্দরবন এলাকা। তখন সারাদেশ পাকবাহিনী মুক্ত না হলেও ১৬ডিসেম্বরের আগেই আমরা এ এলাকা শক্র মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলাম।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত