চিতলমারীতে কুরিয়ার সার্ভিসের ডেলিভারীম্যানকে মারধর

চিতলমারী প্রতিনিধি

আপডেট : ১১:০২ পিএম, শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৭৩

বাগেরহাটের চিতলমারীতে আহাদ পার্সেল এন্ড কুরিয়ার সার্ভিসের চিতলমারী ব্রাঞ্চ অফিসের ডেলিভারীম্যান (সরবারহকারী) মুকুল শেখ (৩০) মারধরের শিকার হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলা শহীদ মিনার মোড় এলাকায় তার উপর এ নগ্ন হামলা হয়। রাতেই অপর ডেলিভারীম্যানরা তাকে উদ্ধার করে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে আহাদ পার্সেল এন্ড কুরিয়ার সার্ভিসের চিতলমারী ব্রাঞ্চ অফিসের ম্যানেজার মঈনুল ইসলাম সুইট বাদী হয়ে চিতলমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।


আহত মুকুল শেখ সাংবাদিকদের জানান, তিনি আহাদ পার্সেল এন্ড কুরিয়ার সার্ভিসের চিতলমারী ব্রাঞ্চ অফিসে ডেলিভারীম্যানের চাকুরী করেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চিতলমারী বাজারের শহীদ মিনার এলাকায় একটি দোকানের মালামাল সরবারহ করতে গেলে সুজন শেখ ও তোতা শেখের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন লোক তাকে মালামাল ও ভ্যানসহ আটক করে রাখে।

এ সময় তারা তাকে মারধর করে টাকা দাবী করে। টাকা না দিলে তারা কুরিয়ার সার্ভিসের গাড়ী ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করবে বলে হুমকি দেয়। আটক ও মারধরের খবর পেয়ে আহাদ পার্সেল এন্ড কুরিয়ার সার্ভিসের অপর ডেলিভারীম্যান ফায়জুল মোল্লাসহ অন্যরা তাকে উদ্ধার করে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।


সুজন শেখ ও তোতা শেখ বলেন, ‘কুরিয়ার সার্ভিস, টার্ভিস বুঝিনা। ওই গাড়ির মাল আমরা আনলোড এবং মালামাল সরবারহ করব। যদি কেউ পারে তো ঠেকাক।’ আহাদ পার্সেল এন্ড কুরিয়ার সার্ভিসের চিতলমারী ব্রাঞ্চ অফিসের ম্যানেজার মঈনুল ইসলাম সুইট বলেন, ‘আহাদ পার্সেল এন্ড কুরিয়ার সার্ভিসের চিতলমারী ব্রাঞ্চ অফিস দেওয়ার পর থেকেই সুজন শেখ ও তোতা শেখের নেতৃত্বে কিছু লোক মালামাল ও কুরিয়ার সার্ভিসের ক্ষতি সাধন এবং জীবননাশের হুমকি দিয়ে আসছে।

এ ঘটনায় তিনদিন আগে তারা ঝামেলা করলে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ এসে বিষয়টি সুন্দর সুরহা করে দেয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাল সরবারহ করতে গেলে তারা পুনরায় ডেলিভারীম্যান মুকুলকে মালসহ আটকে রেখে মারধর করেছে। এ ঘটনায় আমি শুক্রবার দুপুরে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ে করেছি।


আহাদ পার্সেল এন্ড কুরিয়ার সার্ভিসের মালিক আব্দুল আহাদ মোল্লা বলেন, ‘কুরিয়ার সার্ভিস আইনে সার্ভিসের নিজস্ব লোক পণ্য লোড আনলোড ও সরবারহ করবে। এ জন্য সরকার আমাকে লাইসেন্স দিয়েছে। তাই আমি চিতলমারী ব্রাঞ্চ অফিসে পাঁচজন লোক নিয়োগ দিয়েছি। আমার লোক ও মালের ক্ষতি করলে অবশ্যই আমি আইনের আশ্রয় নেব।’


চিতলমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এস এম নাজমুল হাসান বলেন, ‘৩-৪ দিন আগে কুরিয়ার সার্ভিসের বিষয় নিয়ে আমাকে থানা থেকে ঘটনা স্থলে পাঠান হয়। পরে উভয়পক্ষের কথা শুনে নিয়ম অনুযায়ী পণ্য সরবারহ করতে বলি। কারণ কুরিয়ার সার্ভিসের মালামাল তার নিজস্ব লোকেই সরবারহ করে।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত