উন্নয়নের জোয়ারে বাগেরহাট-১ আসনে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত

এস এস সাগর

আপডেট : ০৮:৫৬ পিএম, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২১৯

বাগেরহাট-১ আসন (চিতলমারী-মোল্লাহাট ও ফকিরহাট) এক সময় অবহেলিত ছিল। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখানে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন।

এ বছর উপ-নির্বাচনে তাঁর ছেড়ে দেওয়া এ আসনে আপন চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দীন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেন। মূলত তখন থেকেই চির অবহেলিত এ জনপদের উন্নয়নের গোড়াপত্তন শুরু হয়। এরপর ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে পরপর ৩ বার আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করায় বাগেরহাট-১ আসনে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।

আর এই উন্নয়নের কারণে এ অঞ্চলের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এমপি শেখ হেলাল উদ্দীনকে মনে-প্রাণে ভালবাসেন। তাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বাগেরহাট-১ আসনে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত। এ আসনে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৮ পর্যন্ত চার বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য জননেতা শেখ হেলাল উদ্দীন।

এবারও নির্বাচনে তিনি অংশ গ্রহণ করেছেন। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চিতলমারীর সদর বাজারের একটি চায়ের দোকানে বসে এমনটাই আলোচনা করছিলেন সাধারণ ভোটাররা। সত্তরোর্ধ বৃদ্ধ বলরাম বিশ্বাসসহ অনেকে জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের আমল গুলোতে এ অঞ্চলের রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।

এছাড়া ফায়ার সার্ভিস, নতুন থানা ভবন, এসিল্যান্ড অফিস, কারিগরি কলেজ, খাদ্য গুদাম, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, ভিআইপি ডাকবাংলো, ভূমি ও আশ্রয়হীনদের জন্য আশ্রায়ন প্রকল্প ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নে এলাকার চেহারা পাল্টে গেছে। তাই উন্নয়নের জোয়ারে বাগেরহাট-১ আসনে শেখ হেলাল উদ্দীনের বিজয় সুনিশ্চিত।


চিতলমারী উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে জানা গেছে, শুধুমাত্র চিতলমারীতেই ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত তৃতীয় প্রাথমিক সরকারি প্রকল্প, নতুন প্রাইমারী বিল্ডিং, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচি-২, রেজিষ্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাজ পুণঃ সংস্কার প্রকল্প, সাইক্লোন শেল্টার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা নিবাস ও বড় ধরনের ব্রিজের কাজ শতভাগ হয়েছে।

৯৮ ভাগ হয়েছে চাহিদা ভিত্তিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাহিদা ভিত্তিক নতুন জাতীয় করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি ও সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পর কাজ। খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা উন্নয়ন প্রকল্প ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ৯৫ ভাগ হয়েছে।


৯০ ভাগ শেষ হয়েছে গ্রামীন সড়ক উন্নয়ন, ক্ষুদ্রকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প, বন্যা ক্ষতিগ্রস্থ উন্নয়ন প্রকল্প ও হাট বাজার উন্নয়ন প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ। চিতলমারী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন জানান, ‘গ্রাম হবে শহর’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে এলজিইডি অত্র এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। বিগত বছর গুলোতে এলজিইডির মাধ্যমে চিতলমারীর ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। এছাড়া চলমান প্রকল্প সমূহ শেষ হলে উন্নয়নের নতুন যুগে প্রবেশ করবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত