ফকিরহাটে সরকারী খালে অবৈধ মৎস্য ঘের, বর্ষা মৌসুমে বন্যার আশংকা

পি কে অলোক,ফকিরহাট

আপডেট : ১০:১২ পিএম, বৃহস্পতিবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৮ | ৬৭৮

ফকিরহাটে ৩টি ইউনিয়নের একমাত্র পানি নিস্কাশনের সরকারী খালে ভেড়ী বাধ দিয়ে মৎস্য ঘের নির্মান করা হচ্ছে। যে কারনে আগামী বর্ষা মৌসুমে প্রবল বর্ষণ হয়ে চরম জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে জনগনের চরম দুর্ভোগ নেমে আসার আশংকা করা হচ্ছে। দ্রুত সরকারী খাল দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদপে গ্রহন করা না হলে জলাবদ্ধতা এমন আকার ধারন করবে যে কোন মৃত ব্যাক্তিকে সৎকার করার মত স্থান খুজে পাওয়া যাবে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসি।


প্রাপ্ত লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত ধনপোতা-মাসকাটা সরকারী খালটি পিলজংগ ইউনিয়নের শ্যামবাগাত বাসস্ট্যান্ড হতে শুরু করে মাসকাটা সাব প্রজেক্ট হয়ে লখপুর ইউনিয়নের খড়িয়া বিলের মধ্যদিয়ে বটিয়াঘাটা উপজেলার আমেরপুর ইউনিয়নের মরা পশর নাদীতে গিয়ে মিশেছে। সরকারী এই নদীটির ধনপোতা-মাসকাটা নামক স্থানে জনগন ও যানবাহন চলাচলের জন্য প্রায় ২০ল টাকা ব্যায়ে ১টি ব্রীজ নির্মান করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় ব্রীজের পূর্ব ও পশ্চিমপার্শ্বে ধনপোতা গ্রামের ৭/৮জন ব্যাক্তি ভবিষ্যতের কথা চিন্তা না করে যে যার মত ভেড়ি বাধ নির্মাণ করে মৎস্য ঘের তৈরীর কাজে ব্যস্ত রয়েছে। তারা সরকারী খালের অধিকাংশ স্থান দখল করে সেখানে ভেড়ী বাধ নির্মান করায় ৩টি ইউনিয়নের একমাত্র পানি নিস্কাশনের পথ পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

স্থানীয় বেশ কয়েকজন এলাকাবাসি অভিযোগ করে বলেছেন,৭/৮জন ভুমি দস্যু সরকারী খালে ভেড়ী বাঁধ দিয়ে পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ করে দিচ্ছে। এতে তারা কিছুদিন লাভবান হলেও হাজার হাজার জনগণ তিগ্রস্থ হবে। শুধু তাই নয়, শতশত মৎস্য ঘের, কৃষকের েেতর ফসল ঘরবাড়ি সব কিছু তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক তির আশংকায় রয়েছে। তারা আরো বলেন, পিলজংগ, বেতাগা ও লখপুর ইউনিয়নের প্রায় ২৭টি গ্রামের সকল বৃষ্টির পানি এই ধনপোতা-মাসকাটা মরা নদী দিয়েই সরবরাহ হয়ে থাকে। কিন্তু সেই নদীটির মাঝ পথে ভেড়ীবাধ দিয়ে আটকিয়ে রাখায় উপরের পানি সরবরাহ হতে পারবে না। আর পানি সরবরাহ হতে না পারলে আগামী বর্ষা মৌসুমে প্রবল বর্ষন হলে তা নির্ঘাত বন্যার রুপ ধারন করবে। ফলে জনগনের মাঠে মরে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।

বেতাগা ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের ধনপোতা গ্রামের ইউপি সদস্য মোঃ আলমগীর হোসেন এর সাথে আলাপ করা হলে তিনি খাল দখলকারীদের উচ্ছেদ পূর্বক মরা খালটি পূনঃ খননের জোর দাবী জানান। এব্যাপারে স্বশাসিত ইউনিয়ন পরিষদ এ্যাডভোকেসি গ্রুপ অব বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট ও বেতাগা ইউপি চেয়ারম্যান স্বপন দাশ বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, ধনপোতা-মাসকাটা খালের উপর নির্মিত ব্রীজের পার্শ্বে মরে যাওয়া খালে কয়েকজন ব্যাক্তি ভেড়ী বাধ দিয়ে মৎস্য ঘের করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ এসেছে। যে বিষয়টি তিনি আমলে নিয়েছেন। অচিরেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলেও তিনি জানান।

উল্লেখ্য বেতাগা ইউনিয়নের ধনপোতা গ্রামের মূতঃ মুনছুর আলী মোড়লের পুত্র মোঃ আলমগীর মোড়ল ১৫এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও একই দিন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) এবং ১২ এপ্রিল বেতাগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবরে জনস্বার্থে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত