‘ব্ল্যাংক চেকের ফাঁদ’ থেকে বাঁচতে ৩ ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন

চিতলমারী প্রতিনিধি

আপডেট : ১১:১২ পিএম, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪ | ২১৬

স্বামীর মৃত্যুর আগে চিকিৎসার জন্য নিলীমা হালদার ধার নিয়েছিলেন ৮ হাজার টাকা। পাওনাদার সুবর শেখকে বিনিময়ে পরিশোধ করেন ২০ হাজার টাকা। স্বামীর মৃত্যুর পর সবুর শেখ অসহায় নিলীমাকে আরও লোন দেওয়ার প্রলোভনে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করতে বলেন।

নিলীমাকে নিয়ে সবুর ব্যাংকে গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়ে চেকবইয়ের দুটি খালি পাতায় (ব্ল্যাংক চেক) স্বাক্ষর করিয়ে পাতা ছিঁড়ে নেন। পরে নিলীমাকে নোটিশ পাঠিয়ে দাবি করেন, তার কাছে সাড়ে চার লাখ টাকা পান! এলাকায় সুদকারবারী হিসেবে পরিচিত সবুর শেখ নিলীমার মতো অসংখ্য নিরক্ষর কিংবা স্বল্প শিক্ষিত মানুষকে এমন ফাঁদে ফেলেছেন বলে অভিযোগ আছে।

একজন ইতিমধ্যে আত্মহত্যাও করেছেন। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টায় চিতলমারী উপজেলা প্রেসক্লাবে (সবুজ সংঘ ক্লাবের হলরুমে) সংবাদ সম্মেলন করেন নিলীমাসহ মোট তিনজন। বাকি দুজন শ্রীকান্ত মজুমদার এবং কার্তিক মজুমদার। শ্রীকান্ত মজুমদার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘‘আমি সবুর শেখের থেকে ৩০ হাজার টাকা সুদ নিয়েছিলাম।

বিনিময়ে তাকে দেড় লাখ টাকা দিয়েছি। টাকা নেওয়ার সময় সবুর আমার থেকে ব্ল্যাংক চেক নিয়েছিল। আমি আইন-কানুন না জানায় চেকে সই করি। এখন আমার নামে ৪ লাখ ২৭ হাজার টাকার মামলা করেছে। আমি ১৫ দিন জেলও খেটেছি।’’ শ্রীকান্ত জানান, সবুর শেখ এভাবে মামলা করতে গোপালগঞ্জে বসবাস করা এক আত্মীয়র সাহায্য নিয়ে থাকেন।

কখনো তিনি নিজে বাদি হন, কখনো ওই আত্মীয়কে বাদি করান। শ্রীকান্ত বলেন, ‘‘সবুর শেখের কারেন্ট সুদের খপ্পরে পড়ে আমার এলাকার একজন আত্মহত্যা করেছে। অনেকে দেশ ছেড়েছে, কয়েকজন নিঃস্ব হয়ে পথে পথে মানবেতর জীবনযাপন করছে। বর্তমানে আমরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভয়ে আছি।


কারণ তাঁর শক্তিশালী আদায়কারী বাহিনী ও মামলবাজ চক্র রয়েছে।’’ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে উপজেলার শিবপুর গ্রামের লাল বিহারী মজুমদারের ছেলে কার্তিক মজুমদার বলেন, ‘আমি একই উপজেলার বারাশিয়া
গ্রামের ফহম উদ্দিন শেখের ছেলে আ: সবুর শেখের কাছ থেকে ভাইপোর বিদেশে যাওয়ার জন্য ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলাম। এ টাকার সুদ হিসাবে তাকে আমি এ পর্যন্ত প্রায় তিন লাখ টাকা পরিশোধ করি। এ টাকা নিয়েও সে খ্যান্ত হয়নি। সে আমার দেওয়া ব্ল্যাংক চেক ফেরত না দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকার মামলা দায়ের করেছে।’’


অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সবুর শেখ সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘টাকা পাওনা না থাকলে কি কেউ চেক দেয়? আপনারা আপনাদের কাজ করেন, তারা তাদের কাজ করুক। আমি আমার কাজ করব।’ সবাই টাকা পরিশোধের পরও কেন মামলা করলেন-এমন প্রশ্ন করার আগেই কথা না বলে ফোন কেটে দেন সবুর শেখ।‘ব্ল্যাংক চেকের ফাঁদ’ থেকে বাঁচতে ৩ ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন চিতলমারী প্রতিনিধি স্বামীর মৃত্যুর আগে চিকিৎসার জন্য নিলীমা হালদার ধার নিয়েছিলেন ৮ হাজার টাকা।

পাওনাদার সুবর শেখকে বিনিময়ে পরিশোধ করেন ২০ হাজার টাকা। স্বামীর মৃত্যুর পর সবুর শেখ অসহায় নিলীমাকে আরও লোন দেওয়ার প্রলোভনে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করতে বলেন। নিলীমাকে নিয়ে সবুর ব্যাংকে গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়ে চেকবইয়ের দুটি খালি পাতায় (ব্ল্যাংক চেক) স্বাক্ষর করিয়ে পাতা ছিঁড়ে নেন। পরে নিলীমাকে নোটিশ পাঠিয়ে দাবি করেন, তার কাছে সাড়ে চার লাখ টাকা পান! এলাকায় সুদকারবারী হিসেবে পরিচিত সবুর শেখ নিলীমার মতো অসংখ্য নিরক্ষর কিংবা স্বল্প শিক্ষিত মানুষকে এমন ফাঁদে ফেলেছেন বলে অভিযোগ আছে। একজন ইতিমধ্যে আত্মহত্যাও করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টায় চিতলমারী উপজেলা প্রেসক্লাবে (সবুজ সংঘ ক্লাবের হলরুমে) সংবাদ সম্মেলন করেন নিলীমাসহ মোট তিনজন। বাকি দুজন শ্রীকান্ত মজুমদার এবং কার্তিক মজুমদার। শ্রীকান্ত মজুমদার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘‘আমি সবুর শেখের থেকে ৩০ হাজার টাকা সুদ নিয়েছিলাম। বিনিময়ে তাকে দেড় লাখ টাকা দিয়েছি। টাকা নেওয়ার সময় সবুর আমার থেকে ব্ল্যাংক চেক নিয়েছিল। আমি আইন-কানুন না জানায় চেকে সই করি।

এখন আমার নামে ৪ লাখ ২৭ হাজার টাকার মামলা করেছে। আমি ১৫ দিন জেলও খেটেছি।’’ শ্রীকান্ত জানান, সবুর শেখ এভাবে মামলা করতে গোপালগঞ্জে বসবাস করা এক আত্মীয়র সাহায্য নিয়ে থাকেন। কখনো তিনি নিজে বাদি হন, কখনো ওই আত্মীয়কে বাদি করান। শ্রীকান্ত বলেন, ‘‘সবুর শেখের কারেন্ট সুদের খপ্পরে পড়ে আমার এলাকার একজন আত্মহত্যা করেছে।

অনেকে দেশ ছেড়েছে, কয়েকজন নিঃস্ব হয়ে পথে পথে মানবেতর জীবনযাপন করছে। বর্তমানে আমরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভয়ে আছি। কারণ তাঁর শক্তিশালী আদায়কারী বাহিনী ও মামলবাজ চক্র রয়েছে।’’ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে উপজেলার শিবপুর গ্রামের লাল বিহারী মজুমদারের ছেলে কার্তিক মজুমদার বলেন, ‘আমি একই উপজেলার বারাশিয়া
গ্রামের ফহম উদ্দিন শেখের ছেলে আ: সবুর শেখের কাছ থেকে ভাইপোর বিদেশে যাওয়ার জন্য ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলাম। এ টাকার সুদ হিসাবে তাকে আমি এ পর্যন্ত প্রায় তিন লাখ টাকা পরিশোধ করি। এ টাকা নিয়েও সে খ্যান্ত হয়নি।

সে আমার দেওয়া ব্ল্যাংক চেক ফেরত না দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকার মামলা দায়ের করেছে।’’ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সবুর শেখ সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘টাকা পাওনা না থাকলে কি কেউ চেক দেয়? আপনারা আপনাদের কাজ করেন, তারা তাদের কাজ করুক। আমি আমার কাজ করব।’’

সবাই টাকা পরিশোধের পরও কেন মামলা করলেন-এমন প্রশ্ন করার আগেই কথা না বলে ফোন কেটে দেন সবুর শেখ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত