কচুয়ায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান দেয়না নাগরিক সনদ

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ০২:৫৩ পিএম, রোববার, ২০ মে ২০১৮ | ৫১৭৪

বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শিকদার আবু বক্কর সিদ্দিকের স্বেচ্ছাচারিতায় বাদ পড়ছেনা কেউই। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও দৃর্ণীতির রাজ্যে পরিনত করেছে ইউনিয়ন পরিষদ। ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ায় ভয়ে কেউ টু-শব্দটি করতে সাহস পাচ্ছেনা।

এমনকি নাগরিক সনদ ও দিতে অনীহা রয়েছে তার। সম্প্রতি ইউনিয়নের কৃতি সন্তান পিরোজপুর সরকারী সোহরাওয়ার্দী কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়াত শিক্ষক, রাষ্ট্র বিজ্ঞানী দরবেশ আলী খান এর কন্যা ডাক্তার এশা খশনু তার নাগরিক সনদ পাওয়ার আবেদন করেও তিনি ব্যার্থ হন। চেয়ারম্যান শিকদার আবু বক্কর সিদ্দিক ওই নামে সনদ দিতে পারবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেন। ডাক্তার এশা খশনু ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে চিকিৎসা বিদ্যায় পাশ করার পরে স্কলারশীপ নিয়ে আমেরিকায় চলে যান। ওখানে সে চিকিৎসা বিদ্যায় বিভিন্ন ডিগ্রী অর্জন করেন। মনোবিজ্ঞানে বিশেষ কৃতিত্ব লাভ করায় তিনি ঐ হাসপাতালে চাকুরীর সুযোগ পান। বর্তমানে তিনি দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন করলে স্থায়ী ঠিকানা গ্রামের বাড়িতে তদন্ত আসে। এ কারনে নাগরিকত্ব সনদের জন্য ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এর কাছে গেলে তিনি তালবাহানা শুরু করে। দিনের পর দিন ঘুরিয়ে প্রথমে জন্ম সনদ অথবা ভোটার আইডি কার্ড আনতে বলে। ডা: এশা বাংলাদেশ দুতাবাশ- আমেরিকা থেকে সংগৃহীত জন্ম সনদ পাঠানোর পরে চেয়ারম্যান আবার বাহানা শুরু করে এবং এক পর্যায়ে জানিয়ে দেন নাগরিকত্ব সনদ তিনি দিবেন না।


গোপালপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শিকদার আবু বক্কর সিদ্দিক বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নাগরিকত্ব সনদ পেতে হলে তার জন্ম নিবন্ধন অথবা ঐ ইউনিয়নের ভোটার হতে হয়। নাগরিকত্ব সনদের আবেদনকারী ডাক্তার এশা খশনু স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় প্রদত্ত একটি জন্মনিবন্ধন সনদ পাঠিয়েছে। যা সম্পর্কে আমার কোন ভাল ধারণা নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসমিন ফারহানা বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, লিখিত ভাবে আবেদন করলে আইন ও বিধি বিধানের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত