ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই

চিতলমারী এখন এক ভোগান্তির জনপদ

এস এস সাগর

আপডেট : ০৬:৩২ পিএম, বৃহস্পতিবার, ৭ জুন ২০১৮ | ২৯৫৮

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা এখন এক ভোগান্তির জনপদে পরিণত হয়েছে। সে আপনি যে পথেই এখানে আসতে চান না কেন দুর্ভোগের সীমা নেই। ত্রিশ মিনিটের পথ দু’তিন ঘন্টায়ও শেষ হয় না।

এ উপজেলার সাথে সংযোগকারী চারিপাশের রাস্তা গুলো খানাখন্দে ভরা। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমের কারণে অনেক সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। তাই ঈদে দুর-দুরান্ত থেকে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষের এখন ভোগান্তির শেষ নেই। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বিপদের মোড়ে বসে এমনটাই জানালেন ভ্যান চালক ঠান্ডা মিয়া (৪৫)।

এ সময় আরও কয়েকজন ভ্যান চালক জানান, বাগেরহাট থেকে চিতলমারীর দুরত্ব ২২ কিলোমিটার। চিতলমারী থেকে মোল্লাহাট ২০ কিলোমিটার। হাসপাতালের সামনে দিয়ে ফকিরহাট ২৩ কিলোমিটার। খাসেরহাট-কালিগঞ্জ হয়ে কচুয়া ২৪ কিলোমিটার। টুঙ্গিপাড়া ১৮ কিলোমিটার ও বাবুগঞ্জ হয়ে নাজিরপুরের মাটিভাঙ্গা ১২ কিলোমিটার দুরত্বের পথ। এ সকল রাস্তার দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ার কারণে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। মাঝে মধ্যে দু’একটি রাস্তায় সংস্কারের কাজ হলেও কতিপয় প্রভাবশালী ঠিকাদার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কাজে শুভঙ্করের ফাঁকি দিয়েছে। ফলে কোন সড়ক এখন চলাচলের যথাযোগ্য উপোযোগী নয়। তাই চিতলমারী উপজেলা বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক ভোগান্তির জনপদে পরিণত হয়েছে।


চিতলমারীর ফিড ব্যবসায়ী ভোলানাথ দে, চিংড়ি মাছ ব্যবসায়ী মনি মোহন বিশ্বাস, ফল ব্যবসায়ী সঞ্জয় বৈরাগী, সবজি ব্যবসায়ী মাসুদ মোল্লা বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, এ উপজেলার রাস্তার কারণে ব্যবসার উপর চরম প্রভাব পড়ছে। বাইরে থেকে এখানে কোন ট্রাক বা গাড়ি দ্বিগুণ ভাড়ায়ও আসতে চায় না।

এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাকারিয়া ইসলাম বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, এ উপজেলার বিভিন্ন সড়কের মেরামতের কাজ চলছে। ঈদকে সামনে রেখে অতিগুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় তাৎক্ষনিক মেরামতের ব্যবস্থাও রয়েছে বলে তিনি জানান।

তবে বাগেরহাট সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুজ্জামান মাসুদ বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, বাগেরহাট-চিতলমারী-টুঙ্গিপাড়া রাস্তাটি আঞ্চলিক মহাসড়ক হিসাবে ১১২ কোটি টাকা বাজেট হয়েছে। অচিরেই এর কাজ শুরু হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত