শত বছরের ঐতিহ্য বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা সদরের লক্ষীপুজার মেলা

কচুয়ায় ৭দিন ব্যাপি লক্ষীপুজার মেলা শুরু

আপডেট : ১২:৪০ পিএম, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০১৭ | ১৯৮১

মেলা

শত বছরের ঐতিহ্য বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা সদরের লক্ষীপুজার মেলা এখন শুধু নিয়ম রক্ষা হয়ে দাড়িয়েছে। এবছর বৃহস্পতিবার বাজারের দিন থাকায় একদিন পিছিয়ে শুক্রবার থেকে ৭দিন ব্যাপি মেলা শুরু হয়েছে। প্রতি বছর এই সময়ে দোকানীরা নিজ উদ্যোগেই চলে আসে।

মেলার জন্য নেই কোন নির্দিষ্ঠ স্থান, কচুয়া বাজারের কিছু অংশে এই বসে মেলা। এজন্য বাজারের দিন বাজারের দোকানী ও মেলার দোকান নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়তে হয় দোকানীদের। আগে এ মেলায় হাজার হাজার দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের আগমন ঘটলেও এখন আর তেমন একটা উপস্থিতি নেই। এক সময়ে পুতুল নাচ, লাঠি খেলা, নৌকা বাইচ সহ নানা বিনোদনের ব্যাবস্থা থাকলেও এখন আর তেমন কোন ব্যাবস্থা নেই। ফলে দর্শনার্থীদের আকর্ষনীয় কোন কিছু না থাকায় ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে এর আকার ।

সবশেষ শুধু নৌকা বাইচের রেওয়াজ থাকলেও এখন ভৈরব নদীর আকার ছোট হওয়ায় এবং নদীর দুপাড় প্রভাবশালীদের দখলে থাকায় নৌকা বাইচ ও আর করা সম্ভব হচ্ছেনা। ফলে মেলার শেষ বিনোদন টুকু ও হারিয়ে গেছে। মেলাটি এখন সদর ইউনিয়ন পরিষদের তত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে।

দোকানী গণি বেপারী বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, মেলার এই মেলায় আমি প্রায় ৪৫ বছর দোকান নিয়ে আসি, এখানের পরিবেশ ভালো, তবে বিনোদন ব্যাবস্থা না থাকায় দর্শনার্থী ও ক্রেতা কমে যাচ্ছে। তিনি মেলাটি বাঁচাতে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।

বিশ্বে জঙ্গি হামলার আশংকা ও নানা প্রতিকুলতার কারনে কেউ দায়িত্ব নিয়ে মেলা আয়োজন না করলেও এটা স্বাভাবিকভাবেই চলছে।

কচুয়া সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শিকদার হাদিউজ্জামান হাদিজ বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, ভৈরব নদীটি খনন করে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য নৌকা বাইচ টি যদি আয়োজন করা যায়, তাহলে মেলার ঐতিহ্যটা কিছু হলেও রক্ষা করা যেতো। তিনি আরো বলেন, এলাকার মানুষের মনের সাথে মিশে আছে এই মেলা, এই মেলা সব ধর্মের মানুষের সেতু বন্ধন, সম্পৃতির একটা নিদর্শন। তাই মেলাকে বাচাঁতে সকলের সহযোগীতা আশা করেন তিনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসমিন ফারহানা বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, আমাকে চেয়ারম্যান সাহেব অবহিত করেছেন। আশাকরি সকলের সহযোগীতায় মেলাটি শান্তিপুর্ন ভাবে সম্পন্ন হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত