২৮১নং পূর্ব বারইখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

মোড়েলগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ

এম.পলাশ শরীফ, মোড়েলগঞ্জ থেকে

আপডেট : ০৬:০০ পিএম, মঙ্গলবার, ৩১ জুলাই ২০১৮ | ৯৩৭

মোড়েলগঞ্জের ২৮১নং পূর্ব বারইখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মেরাজুল ইসলাম খসরু’র বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শাহীন শেখ।

সংসদ সদস্য বাগেরহাট-৪ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর পৃথক অভিযোগ দুটিতে বলা হয়েছে। ২৮১নং পূর্ব বারইখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রতি বছর স্কুলের নামে বরাদ্ধকৃত স্লিপের টাকা উত্তোলন করে বিদ্যালয়ে কোন কাজ না করিয়ে নিজ বাড়ির সীমানা প্রাচীরসহ বিভিন্ন কাজে ব্যায় করে। কাগজ কলমে ভাউচার দেখিয়ে দেন ওই শিক্ষক।

কথা উঠেছে স্কুল ফিডিং বিস্কুট ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিতরণ না করে তার নিতটতম আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের বিস্কুট দিয়ে পারিবারিক কাজ করানো হয়ে থাকে। গত অর্থ বছরে বিদ্যায়ের টয়লেট নির্মাণের জন্য বরাদ্ধকৃত টাকা কোন কাজ না করিয়ে নিজেই পকেটস্থ করেছে অভিযোগে বলা হয়েছে। এছাড়াও জনস্বার্থে সরকারিভাবে বরাদ্ধকৃত পানির ফিল্টারটি ভেঙ্গে নিজ বাড়িতে তার মালামাল ব্যবহার করা হয়েছে।

বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেনীর জন্য সরকারিভাবে বরাদ্ধকৃত ৫ হাজার টাকা শিশুদের কোন কাজে ব্যায় না করিয়ে কাগজে কলমে ব্যায় দেখানো হয়েছে। সর্বশেষ চলতি বছর একটি নিয়ম বর্হিভূত একটি কমিটি করে উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা দেন। যেখানে ছাত্র অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজনের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। বিদ্যালয়টি যে ওয়ার্ডে স্থাপিত সেই ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে নিয়ম অনুযায়ী কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করার নিয়ম থাকলেও প্রকৃতভাবে ওই কাউন্সিলর শাহীন কিছুই জানেননা। স্থানীয় সংসদ সদস্যের মনোনিত বিদুৎসাহী সদস্য হিসেবে মো. সাইফুল ইসলাম শেখকে নির্ধারন করে দেওয়া হলেও উক্ত প্রধান শিক্ষক অনিয়ম করে তার আপন ভাইয়ের নাম দিয়ে কমিটি দাখিল করে।

একই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে মেরাজুল ইসলাম খসরু, তার স্ত্রী সহকারি শিক্ষিকা খালিদা ইয়াসমিন দীর্ঘদিন ধরে থাকায় নিয়মবর্হিভূত সুবিধা ভোগ করে আসছেন।


এসব অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বিদ্যালয়টিতে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সিপটে ৫ম শ্রেণীতে ছাত্র রয়েছে ১৬জন। ৪র্থ শ্রেনীতে ১৫জন, ৩য় শ্রেণীতে উপস্থিতি ৫ জন। প্রধান শিক্ষক সহ কর্মরত রয়েছে ৫জন। ১জন রয়েছে ছুটিতে।


এদিকে বাগেরহাট-৪, সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেনের বরাবরে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন ।


এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মেরাজুল ইসলাম খসরু বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন। স্থানীয় দলাদলির ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি।

এ সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে দেখার জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি শিক্ষা কমিটির সভায় উপস্থাপনার জন্য বলা হয়েছে।


উপজেলা শিক্ষা অফিসার আশিষ কুমার নন্দী বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশ মোতাবেক তদন্তের কাজ চলছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত