বাগেরহাটে নসিমন চালক হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদন্ড

শেখ আহসানুল করিম

আপডেট : ০৬:২৩ পিএম, বৃহস্পতিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ১১১৬

বাগেরহাটে নসিমন চালক মামুন মোল্লা (২০) হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদন্ডাদেশ এবং এক জনের দুই বছরের কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহষ্পতিবার বিকেলে বাগেরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এই রায় ঘোষনা করেন।


মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার ভট্টবালিয়াঘাট গ্রামের আব্দুল ফকিরের ছেলে সোহাগ ফকির (২৮), গোলাম মোস্তফা ওরফে মাফুজের ছেলে ইব্রাহিম মোল্লা (২৭), দক্ষিন খানপুরের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মিজান (২৮) ও ফকিরহাট উপজেলার লকপুরের ওমর আলী মোল্লার ছেলে জুনু ওরফে ইসমাইল মোল্লা (৩৩)।

এছাড়া মামলার অপর আসামী খুলনার জোনাব আলী গাজীর ছেলে জয়নাল গাজী (৩৫)কে ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদন্ডাদেশ দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামী সোহাগ ফকির ও ইব্রাহিম মোল্লা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।


মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট সদর উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ মোল্লার ছেলে নসিমুন চালক মো. মামুন মোল্লা(২০) নিজ নসিমনে মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত ৪ আসামীকে নিয়ে খুলনা যায়। এরপর থেকে আর মামুনকে খুজে পায়নি তার পরিবার। পরে ৯ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন মামুনের পিতা আব্দুল্লাহ মোল্লা। এর ১০ মাস পরে ১লা জুলাই আব্দুল্লাহ মোল্লা তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে সদর থানায় এজাহার দেন। এজাহারে তিনি মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত চার আসামী তার ছেলেকে হত্যা করে জয়নাল গাজীর কাছে নসিমন বিক্রি করেছে বলে উল্লেখ করেন।


এরপর ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর সিআইডি পরিদর্শক মো. নিজাম উদ্দিন হাওলাদার মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত ৪ আসামীসহ ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। আদালত ১২ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে হত্যার দায়ে ৪জনকে মৃত্যুদন্ড ও চোরাই মাল ক্রয়ের দায়ে একজনের ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদন্ডাদেশ দেন।


বাগেরহাট কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) কাজী দাউদ হোসেন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, নসিমন চালক হত্যার দায়ে আদালত ৪জনকে মৃত্যুদন্ডাদেশ এবং একজনকে সাজা প্রদান করেন। এদের মধ্যে সোহাগ ফকির ও ইব্রাহিম মোল্লাকে আমরা জেল হাজতে পাঠিয়েছি। অন্যরা পালাতক রয়েছে।

এ মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ছিলেন, এ্যাড. সৈয়দ জাহিদ হোসেন ও আসামী পক্ষে ছিলেন এ্যাড. মো. মোসলেম উদ্দিন, মো. এনায়েত হোসেন, মনোজ কুমার শিকদার।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত