পিরোজপুরে জালিয়াতির মাধ্যমে সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা উত্তোলন

পিরোজপুর প্রতিনিধি

আপডেট : ১১:৩৪ এএম, শুক্রবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ৬০৭

পিরোজপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তোলন করে নিয়েছেন জনৈক ঠিকাদার এনামুল হক মিন্টু। বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন সড়ক বিভাগ কর্তৃপক্ষ। আদালতের চোখকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মামলায় জামিন নিয়ে দোর্দন্ড প্রভাবে বিচরণ করছেন উক্ত ঠিকাদার।


ঘটনার বিবরণে জানা যায়, জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলাধীন ভিটাবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল জলিল হাওলাদারের পুত্র এনামুল হক মিন্টু সড়ক বিভাগের একজন ঠিকাদার। ২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরে পিরোজপুর জেলার চরখালী এবং বেকুটিয়া ফেরীঘাট মেসার্স অপু এন্টারপ্রাইজ এর নামে ইজারা গ্রহণ করেন উক্ত মিন্টু। তিনি সরকার নির্ধারিত ৪২ লক্ষ টাকা দিতে নানা মুখি তালবাহানা করতে থাকেন উক্ত ঠিকাদার। এক পর্যায়ে সড়ক বিভাগ পাওনা আদায়ের ক্ষেত্রে পিরোজপুর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সিসি ৫২/১৫ মোকদ্দমা দায়ের করেন। উক্ত মোকদ্দমায় গ্রেফতার পূর্বক মিন্টু জেল হাজতে গেলে প্রাথমিক ৫ লক্ষ টাকা এবং প্রত্যেক তারিখে ১ লক্ষ টাকা পরিশোধের শর্তে গত ২৪/০৬/২০১৮ ইং তারিখ জামিন গ্রহণ করেন।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে জামিন গ্রহণের পূর্বে দেয় ৫ লক্ষ এবং পরবর্তী ২টি তারিখে ১ লক্ষ ও ৫০ হাজার মোট সাড়ে ছয় লক্ষ টাকার পে-অর্ডার এর ফটোকপি আদালতে দাখিল করে জামিন গ্রহণ করেন। প্রকারন্তরে নির্বাহী প্রকৌশলী সড়ক বিভাগ বরাবরে উক্ত পে-অর্ডার দাখিল না করে নির্বার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পে-অর্ডারের ফটোকপি জমা দেন এবং পিরোজপুর সোনালী ব্যাংক হতে নির্বাহী প্রকৌশলীর বরাবরের উক্ত পে-অর্ডার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা না দিয়ে উত্তোলন করে নিয়েছেন। সম্পূর্ণ জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে নির্বাহী প্রকৌশলীর নামে বরাদ্দকৃত পে-অর্ডার কিভাবে মিন্টু উত্তোলন করলেন বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সকলকে ভাবিয়ে তুলেছেন। এদিকে জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের বিষয়টি আদালতের নজরে আসলে গত ২৫/০৯/২০১৮ ইং তারিখ সিসি ৫২/১৫নং মামলার পে-অর্ডার জমা করণ সংক্রান্ত স্মারক নং ১৮২০ পরিপত্রের জবাবে সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব), মাসুদ মাহমুদ সুমন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, ৫২/১৫ নং মোকদ্দমার দায়িক মিন্টু হাওলাদার অত্র দপ্তরের কোন পে-অর্ডার জমা প্রদান করেন নি। এদিকে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের পেশকার জানান এ সংক্রান্ত জালিয়াতির পরিপ্রেক্ষিতে আরও একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।


এ ব্যাপারে ঠিকাদার এনামুল হক মিন্টুর সাথে ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তার ফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। তবে ঠিকাদার এনামুল হক মিন্টুর নামে এছাড়াও একাধিক চেক জালিয়াতির মামলার অভিযোগ রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত