ইলিশের নিরাপদ প্রজননে শরণখোলা প্রশাসনের ব্যাপক উদ্যোগ

নিষেধাজ্ঞা হওয়ায় সারা বছরই ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

আপডেট : ০৫:৫৯ পিএম, শনিবার, ৬ অক্টোবর ২০১৮ | ১৭৬৩

নিষেধাজ্ঞা হওয়ায় ইলিশের পরিমান বেড়েছে। ইলিশের নিরাপদ প্রজননের সুযোগ দেওয়ায় এখন সারা বছরই নদী-সাগরে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। এতে মৎস্য ব্যবসায়ী ও জেলেরা যেমন লাভবান হচ্ছেন, তেমনি দেশের রাজস্ব ভা-ারও সমৃদ্ধ হচ্ছে। সাধারণ মানুষ ইলিশের স্বাদ গ্রহনেরও সুযোগ পাচ্ছে। এমনই ভাষ্য বাগেরহাটের শরণখোলার জেলে-মহাজনদের।


আজ শনিবার রাত ১২টার পর থেকে (৭অক্টোবর থেকে ২৮অক্টোবর পর্যন্ত) ২২দিন বন্ধ থাকবে ইলিশ আহরণ। কারণ এ সময়টাকে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে। নির্ধারিত এ সময়ে কেউ যাতে ইলিশ আহরণ, সংরক্ষণ, পরিবহন এবং বিপনন করতে না পারে এবং নিরাপদ প্রজননের জন্য শরণখোলা উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ ব্যাপক সচেতনতামূলক প্রচারণাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করেছে।


শরণখোলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, জেলে-মহাজন ও সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে উপজেলার সর্বত্র মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, ব্যানার স্থাপন ও বিভিন্ন স্থানে জেলেদের নিয়ে সভা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বরফ কলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে নদ-নদীতে নিয়মিত টহল, মোবাইল কোর্ট ও অভিযান পরিচালনা করা হবে।


মৎস্য কর্মকর্তা আরো জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকল ফিশিং ট্রলার ঘাটে নোঙ্গর করার জন্য মালিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইন অমান্যকারীর বিরুদ্ধে সর্বনি¤œ এক বছর ও সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদ- এবং পাঁচ হাজার টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দ-ের বিধার রয়েছে।


শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিংকন বিশ্বাস বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, নিষেধাজ্ঞা যথাযথভাবে পালনের জন্য সচেতনামূলক প্রচারণা চলছে। শনিবার রাত ১২টার পর থেকে মৎস্য বিভাগ ও পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে নদীতে টহল করা হবে। ৮অক্টোবর উপজেলার জেলে-মহাজনসহ মৎস্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে সভা করা হবে।


জাতীয় মৎস্য সিমিতির শরণখোলা উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আবুল হোসেন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, সরকারের আইনের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। অবরোধ হওয়ায় আমরাই লাভবান হচ্ছি। সারাবছরই ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। সবাই এখন ইলিশের স্বাদ নিতে পারছে।


তিনি আরো বলেন, এ উপজেলায় দেড় শতাধিক ফিশিং ট্রলার রয়েছে। তার সবগুলোই প্রায় সাগর থেকে উঠে এসেছে। দু-একটি থাকলেও তা যথা সময়ে চলে আসবে। লোভে পড়ে কেউ যাতে প্রজননের এ সময় নদী-সাগরে ইলিশ না ধরে সেজন্য সকল জেলে ও মহাজনকে সচেতন করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত