“প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প”

ফকিরহাটে ২২৪জন আশ্রয়হীন পাচ্ছেন মাথা গোজার ঠাই

পি কে অলোক.ফকিরহাট

আপডেট : ০৫:১৭ পিএম, সোমবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৮ | ১২৭৫

দেশের মানুষের কল্যান ও সম্মৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত বিশেষ ১০উদ্যোগের ১টি হলো আশ্রয়ন প্রকল্প। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ফকিরহাটের ৮টি ইউনিয়নের ২২৪জন ছিন্নমুল মানুষের ঠাই হচ্ছে। কয়েকটি ইউনিয়নে এরই মধ্যে গৃহহীন মানুষের মাঝে ঘর গুলি হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘর পেয়ে নতুন করে তাঁরা জীবন সাজাতে শুরু করেছেন। বাকি অন্যান্য ইউনিয়ন গুলিতেও দ্রুত ঘর নিমার্নের কাজ এগিয়ে চলছে। শিগগিরই নতুন ঘর বুঝে পাবেন তালিকা ভুক্ত হতদরিদ্র পরিবার গুলো। একই সঙ্গে এসব পরিবারের সদস্যদের সুষ্ঠ বিকাশ নিশ্চিত করতেও কাজ চলছে।

জানা গেছে,যার জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথম কিস্তিতে প্রতি ইউনিয়নে ১০টি করে মোট ৮০টি ঘর প্রদান করা হয়েছে। শুরুতে ঘর গুলির পোতা পাকা টিনের বেড়া টিনের ছাউনী ও টিনের বাথরুম নির্মান করে দেওয়া হয়। কিন্তু অন্যান্য উপজেলার তুলনায় ফকিরহাট উপজেলা সর্বসময় টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করেন। সে অনুযায়ী একই বরাদ্ধে উন্নত ঘর তৈরীর পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়। প্রথম পর্যায়ে ৮০টি ঘর টিন দিয়ে তৈরী করা হলেও দ্বীতিয় পর্যায়ে ৫ইঞ্চি ইট দিয়ে পাকা ঘর নির্মানের কাজ চলছে। যা টেকসই ও উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অনেকটা অর্জন করা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে ভিশন-২০২১ তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়েই একাজ গুলি করা হচ্ছে। অন্যান্য উপজেলায় ছিন্নমুল পরিবারের মাঝে টিনের ঘর বরাদ্ধের নিয়ম হলেও এখানে তার ব্যতিক্রম হচ্ছে। দ্বিতিয় পর্যায়ে প্রতিটি ইউনিয়নে ১৮টি করে মোট ১৪৪টি ও তৃতীয় পযার্য়ে ৫০টি করে মোট ২০০টি ঘর প্রদান করার পরিকল্পনা রয়েছে।

বেতাগা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জাহারা বেগম (৫৬) বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, ৩০বছর আগে স্বামী মারা যায়। এর পর হতে দুরসম্পর্কের এক চাচা-কে সঙ্গে নিয়ে তিনি ফকিরহাট কাটাখালী সহ বিভিন্ন এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বৃষ্টির সময় ঝুপড়ী ঘরে বসবাস করা অসম্ভব ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাথা গোজার ঠাই করে দিয়েছে। আমি তার ঋণ কোন দিন শোধ করতে পারবো না। তিনি প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করেন। একই এলাকার বাসিন্দা রেক্সোনা বেগম মাত্র ৫কাঠা জমির উপর ঝুপড়ী ঘর বেধে কোন রকমের বসবাস করেতেন। রোদ বৃষ্টি হলে বাইরে পড়ার আগেই ঘরে পড়তো। প্রচন্ড শীতে ছোট্ট ছোট্ট ছেলে মেয়েদের নিয়ে কি যে যন্ত্রনা পোহাতে হতো তার বর্ননা দিতে গিয়ে কেদে উঠেন। তিনি বলেন, আমাগো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাগো গরিবের জন্য ঘর দিছে। আমরা তাতে অনেক খুশি আমি তাকে দোয়া করি সে যেন ম্যালা দিন বাছে।

বিঘাই গ্রামের বিধবা রিক্তা বিশ্বাস বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, স্বামীর মূত্যুর পর নাড়া দিয়ে ঘর বানিয়ে সেই ঝুপড়ীর মধ্যে সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতাম। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মাথা গোজার স্থান করে দিয়েছেন। আমরা তার দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

এব্যাপারে স্বশাসিত ইউনিয়ন পরিষদ এ্যাডভোকেসি গ্রুপ অব বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট ও বেতাগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান স্বপন দাশ বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, আমরা এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। সকলে যা করছে আমরা তা করছি না। আমরা টেকসই ও উন্নয়নের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ নিয়ে কাজ করছি। আর এজন্য একই বাজেটে পাকা ঘর নির্মাণ করার পরিকল্পনা করেছি। যা টেকসই ও উন্নয়নের লক্ষমাত্রা অর্জন হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত