জরুরী কাজ করা হয় প্রেষণে লোক এনে

বাগেরহাট জেলা পরিসংখ্যান অফিসে ১৩ পদের ১২টিই শূন্য

আলী আকবর টুটুল

আপডেট : ০৫:২০ পিএম, মঙ্গলবার, ২০ নভেম্বর ২০১৮ | ২৬৭১

বাগেরহাট জেলা পরিসংখ্যান অফিসের ১৩টি পদের ১২টি শূন্য। দীর্ঘদিন ধরে চলছে একজন কর্মকর্তা দিয়ে অফিসিয়াল কার্যক্রম। এ জনবল সংকটের কারণে হিমশিম ক্ষেতে হচ্ছে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঐ কর্মকর্তার। তবে উপজেলা কার্যালয় গুলোতে লোকবল সংকট থাকার পরও সেখান থেকে প্রেষনে লোক এনে জেলা অফিসের জরুরী কাজ গুলো করা হয়। তবে বারবার শূন্য পদের তালিকা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠালেও নেই কোন সমাধান।


বাগেরহাট জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বড় একটি জেলা অফিসে কাজ করছে মাত্র ৩-৪ জন লোক। অফিসে ঢুকতেই আসেন ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক সৈয়দ আমজাদ হোসাইন। তার রুমে বসে কথা হয় তার সাথে। তখন তিনি বলেন, এ বছরের আগস্ট মাসের ২ তারিখ বাগেরহাট জেলা পরিসংখ্যান অফিসে ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক হিসেবে যোগদান করেছেন। এর আগে প্রায় ২ বছর পর্যন্ত খুলনা বিভাগীয় পরিসংখ্যান অফিসের যুগ্ন পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া ২০১৩ সালে জেলা কার্যালয় স্থাপনের পর থেকে ১৩টি পদের ১২টি পদ শুন্য ছিল। পদগুলো হচ্ছে সহকারী পরিসংখ্যান কর্মকর্তা একজন, পরিসংখ্যান সহকারী ৪ জন, ডাটা এন্ট্রি/কন্ট্রোল অপারেটর দুই জন এবং একজন করে উচ্চমান সহকারী, কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, গাড়ী চালক, এমএলএসএস, নাইটগার্ড। তবে এর মধ্যে দুই জন পরিসংখ্যান সহকারী কিছু সময় দায়িত্ব পালন করছেন।


এছাড়াও জেলার ৯ উপজেলার প্রত্যেকটি পরিসংখ্যান কার্যালয়ে রয়েছে জনবল সংকট। এর মধ্যে ৯ উপজেলায় ৪৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও আছে ২২ জন। এর মধ্যে বাগেরহাট সদর, কচুয়া, রামপাল, ফকিরহাট ও মোল্লাহাটে উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নেই।


জেলা অফিস থেকে প্রতিমাসে শূন্য পদের তালিকা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হলেও কোন অগ্রগতি নেই লোকবল নিয়োগের বিষয়ে। তবে উপজেলা কার্যালয় গুলোতে লোকবল সংকট থাকার পরও সেখান থেকে প্রেষনে লোক ডেকে জেলা অফিসের জরুরী কাজ গুলো করা হয়।


খুলনা বিভাগীয় পরিসংখ্যান অফিসের যুগ্ন পরিচালক মোঃ গোলাম মোস্তফা বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, ২০১৩ সালে দেশের ৪১টি জেলায় নতুন করে জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয় স্থাপন করা হয়। সেখানে জেলা অফিসে প্রয়োজনীয় পদ সৃষ্টি করা হয়। জেলা কার্যালয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগের জন্য কর্তৃপক্ষ খুবই আন্তরিক। লোকবল নিয়োগের জন্য ইতোমধ্যে ৩ টি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। যা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশা করি এ ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসের মধ্যে সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত