শীতকালিন সবজি চাষের বিপ্লব

মোরেলগঞ্জে বদলে গেলো কৃষক রিপনের পরিবার

এম.পলাশ শরীফ, মোরেলগঞ্জ

আপডেট : ০৭:৫৯ পিএম, মঙ্গলবার, ১৫ জানুয়ারী ২০১৯ | ৯৪৫

মোরেলগঞ্জের শীতকালিন সবজি টমেটো, লাল শাক, কলমি শাক, বিটকপি, মিষ্টি আলুসহ নানা প্রজাতির সবজি চাষে বদলে গেছে কৃষক রিপন কুমার মিস্ত্রীর পরিবার।



কৃষি কাজের ওপর নির্ভরশীল একটি পরিবার। মাত্র ১০ কাটা কৃষি জমি, রয়েছে মাথাগোজার সামান্যতম বসত ভিটা। সংসারের অভাব আর অনটনের কাজের সন্ধ্যানে পারি দিতে হয়েছিলো রাজধানী সহ বিভিন্ন জেলায়। সেখানেও পায়নি কোন সুখের ঠিকানা। ছুটে আসেন নারির টানে নিজ জন্মস্থান গ্রামের মাটিতে। খাউলিয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের কেশব চন্দ্র মিস্ত্রীর পুত্র কৃষক রিপন কুমার মিস্ত্রী’র(৪০) পৈতিক সূত্রে বাবার তেমন কোন জমিজমা না থাকলেও মাথা গোজার ঠাইটুকু বসতবাড়ি রয়েছে। পরিবারের ভরপোষনে বৃদ্ধ পিতা-মাতা স্ত্রী সন্তান সহ ৫ জন রয়েছে।



মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় এ সফল কৃষক রিপন কুমার মিস্ত্রী’র(৪০) সাথে তিনি বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, ২০১৩ সালে জুলাই মাসে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প সহায়তায় সদস্য অন্তভূক্ত হই। প্রথমে সেখান থেকে ১০ হাজার টাকা সাধারণ ঋণ গ্রহন করি। পর্যায়ক্রমে ১৫-২০, সর্বশেষ ক্ষুদ্র উদ্যেক্তা উন্নয়ন ঋণ ৩০ হাজার টাকা পেয়েছি। এ টাকা দিয়েই শুরু করি ১০ কাঠা কৃষি জমিতে প্রথমে করোল্লা চাষ এবং ৩০ মন কাকরোল বিক্রি করি ৬০ হাজার টাকা। লাল শাক, কলমি শাক বিক্রি হয় ১০ হাজার টাকা। ২৫মন বিটকপি, প্রতিমন বিক্রি হয় ৪শ’ টাকা দরে। এ কৃষি জমির মধ্যে থেকে পৃথক ৪ কাঠা জমিতে মিষ্টি আলু ২০ হাজার টাকা বিক্রি হয়। এখন রয়েছে মাঠে টমেটো প্রচুর ফলন হয়েছে। অন্যসব বছরের চেয়ে বাজার দর রয়েছে বেশী। ১ সপ্তাহের মধ্যে বাজারে বিক্রি করা শুরু করা হবে। কৃষক রিপন কুমার শীতকালিন সবজিতে বাম্পার ফলন হওয়ায় তিনি অনেক খুশি তিনি একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সহায়তা পেয়ে তার সংসারে চাকাকে ঘুরিয়ে আনতে পেরেছে বলে রুপকল্পকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।



এ সর্ম্পকে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের উপজেলা ব্যাবস্থাপক প্রভাষ চন্দ্র মন্ডল বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, এ রকম শুধু কৃষক রিপন কুমার মিস্ত্রী নয় শীতকালিন সবজি চাষে, এ উপজেলার ৩০৩টি সমিতির বিভিন্ন ইউনিয়নের অনেক সদস্যরাই স্বাবলম্বী হয়ে অর্থনৈতিক পরিবর্তন এনেছে। পরিবর্তন হয়েছে তাদের জীবন যাত্রারমান।



এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, পল্লী দরিদ্র জনগোষ্টি মানউন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মাধ্যমে ছোট ছোট সমিতি করে তাদের প্রথমে সাধারণ ঋণ পরবর্তীতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা উন্নয়ন ঋণ দিয়ে সহায়তা করে আসছে। তারই প্রতিফলন ইতোমধ্যে বিভিন্ন খামারির চাষিরা উন্নয়নকল্পে দৃষ্টান্ত রেখেছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত