চিতলমারীতে ৩০ হাজার একর জমিতে বোরো চাষ

নায্যমূল্য পেলে ফুটবে হাসি-ঘুচবে ধারদেনা

এস এস সাগর, চিতলমারী

আপডেট : ০৭:৩১ এএম, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০১৯ | ৭৪৬

চিতলমারীতে চলতি বোরো মৌসুমে প্রায় ৩০ হাজার একর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। এ বছর েেত যেমন রোগ-বালাই কম। তেমনি নেই কোনো পোকার উপদ্রব। তাই প্রতিটি ধানের তে যেন এক নয়নাভিরাম সবুজের সমাহার। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এ বছর বেরো ধানের বাম্পার ফলন হবে। আর এ ফলন ঘরে তুলতে পারলে ধান বিক্রি করে মিটবে তাদের ধারদেনা ও মুখে ফুটবে হাসি। বুধবার দুপুরে এমনটাই বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানিয়েছেন চিতলমারী সদর ও রায়গ্রাম ব্লকের ধান চাষিরা।


স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে মোট ব্লকের সংখ্যা ২১ টি। এরমধ্যে বড়বাড়িয়া ব্লকে এক হাজার ৬৫৫ একর, হাড়িয়ারঘোপ এক হাজার ১৮৫ একর, মাছুয়ারকু এক হাজার ৮৭৭ একর, কলাতলা এক হাজার ৩৫৮ একর, রহমতপুর এক হাজার ২৯৬ একর, শৈলদাহ এক হাজার ৩০৯ একর, হিজলা এক হাজার ৩৪৬ একর, কুড়ালতলা এক হাজার ৩৩৩ একর, শান্তিপুর এক হাজার ১৯৭ একর, শিবপুর ৬৬৭ একর, বড়বাক ৬১৭ একর, চিতলমারী সদর ২ হাজার ৭৪ একর, শ্রীরামপুর ৩ হাজার ৩১০ একর, রায়গ্রাম ৩ হাজার ৮০৩ একর, চরবানিয়ারী ৭০৪ একর, খড়মখালী এক হাজার ৫০ একর, চরডাকাতিয়া ৫৫৫ একর, সন্তোষপুর ৭৯০ একর, দড়িউমাজুড়ি এক হাজার ২২২ একর ও কচুড়িয়া ব্লকে ৯৬৩ একরসহ মোট ২৯ হাজার ৮৯৭.১ একর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। তারমধ্যে ২৮ হাজার ৪৯১.৪৫ একর জমিতে হাইব্রিড, ৪৮১.৬৫ একর জমিতে উফশী ও ৯২৪ একর জমিতে স্থানীয় জাতের ধান চাষাবাদ হয়েছে।

কৃষক শুধাংশু মন্ডল, মুন্না শেখ, কুরমনির রেজাউল খান, বুদ্ধ বসু, কৃষ্ণ বিশ্বাস, উত্তম বসু, খিলিগাতির বাবলু মন্ডল, শ্রীরামপুরের তাপস ভক্ত, পাটরপাড়ার মুজিবর বিশ্বাস ও খড়মখালীর পরিমল মজুমদারসহ অসংখ্য কৃষক বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, এ বছর চাষিরা স্বতর্স্ফুত ভাবে ধান চাষ করেছে। তাই চারিদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ।

তারা আরও জানান, আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ও কারেন্ট (মৌয়া) পোকার আক্রমণ না হলে এ বছর বেরো ধানের বাম্পার ফলন হবে। সোনালী ধানে ভরে যাবে গোলা। আর বহু কষ্টে উৎপাদিত ধানের নায্যমূল্য পেলে ঘুচবে ধারদেনা ও পাওনাদারদের তাড়া। মুখে ফুটবে হাসি। আর মুছবে দুঃখ-কষ্ট ও যন্ত্রনা।

তবে চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, এ উপজেলায় প্রায় ৩০ হাজার কৃষক পরিবার রয়েছে। বিগত বছর গুলোর তুলনায় ২৫০ একর বেশী জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। এ বছর ক্ষেতে যেমন রোগ-বালাই কম। তেমনি নেই কোনো পোকার উপদ্রব। তাই এবছর বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত