বাগেরহাটে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ০৭:২১ পিএম, সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০১৯ | ৫৬০

বাগেরহাটে আবুল কালাম আজাদ নামের এক বিএনপি নেতার নেতৃত্বে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। যৌথ কারবারী ব্যবসার প্রলোভন দেখিয়ে কিছু জমি লিখে নিয়ে শর্ত ভঙ্গ করে এখন মুল মালিকের জমি দখলের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদ বাগেরহাট সদর উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এবং রণবিজয়পুর গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে।

ভুক্তভোগী বাগেরহাট সদর উপজেলার পাটরপাড়া গ্রামের শেখ তায়েবুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ উল্লাহ রানা অভিযোগ করে বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, তিনি খুলনা- বাগেরহাট মহাসড়কের পাশে সদর উপজেলার খান জাহান আলী (রহ) মাজারের কাছে তেলের পাম্প স্থাপনের জন্য ২০১১ সালে ৮ শতক জমি ক্রয় করেন। ২০১২ সালের মার্চ মাসে তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে অনাপত্ত্বি পত্র এবং বিস্ফোরক অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন গ্রহন করেন। একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি বাগেহাট সড়ক ও জনপথ থেকে ও কিছু জমি ইজারা গ্রহন করেন। কিন্তু ব্যবসায়ীক অদক্ষতার সুযোগ নিয়ে পেট্রোল পাম্প নির্মানের জন্য স্থানীয় কয়েক ব্যাক্তি তার সাথে যৌথ কারবারী ব্যবসা করার আগ্রহ প্রকাশ করে। একপর্যায়ে বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে ২০১২ সালের ১১ নভেম্বর একটি যৌথ কারবারী দলিল সম্পাদন করা হয়। এই দলিলে মোহাম্মদ উল্লাহ রানা তার জমির অর্ধেক অংশ ওই বিএনপি নেতাসহ ৪ জনের নামে লিখে দেন। উল্লেক্ষিত দলিলের শর্তগুলো তারা পালন করতে ব্যর্থ হয়ে এ বছরের ১ মার্চ তাদের নামে থাকা জমি অন্যত্র বিক্রি করে দেবে বলে জানায়। এঘটনা জানার পর মোহাম্মদ উল্লাহ রানা ৩ এপ্রিল উক্ত দলিল অকার্যকর করার জন্য বাগেরহাট জেলা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত ৯ এপ্রিল বিবাদীদের কারণ দর্শনোর নোটিশ দেয়। কিন্তু ওই বিএনপি নেতার নেতৃত্বে প্রভাবশালীরা গত ১১ এপ্রিল সম্পুর্ণ জমি দখল করতে যায়। এঘটনার পর মোহাম্মদ উল্লাহ রানা বাগেরহাট সদর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এবিষয়ে বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, মোহাম্মদ উল্লাহ রানাই আমাদের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে। আমাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে সে যৌথ কারবারের সকল শর্ত ভঙ্গ করেছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত