কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ

আলী আকবর টুটুল

আপডেট : ০৫:৩৬ পিএম, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৯ | ২০৩৪

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সরকারি হাসপাতালের অপারেশনের জন্য রোগীদের কাছ থেকে টাকা গ্রহন, ঔষধের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতায় বরাদ্ধ টাকা আত্মসাত, কোয়ার্টার ষ্টাফদের কাছে ভাড়া দিয়ে অর্থ আদায়সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ মঞ্জুরুল আলমের বিরুদ্ধে।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে ষ্টাফ কোয়ার্টারে ভাড়া দিয়ে থাকা এক সেবিকা জানান, ২০১৮ সালের নভেম্বর থেকে মাসে ১৫‘শ টাকা ভাড়া দিয়ে থাকি। স্যার (উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা) বলেছেন পরে সব ঠিক করে দিবে। একইভাবে ওই কোয়ার্টারে ৪র্থ শ্রেণির এক কর্মচারী মাসে ৫‘শ টাকা ভাড়া দিয়ে থাকেন। এছাড়াও কয়েকজন সেবিকা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে মাসিক ভাড়া দিয়ে ডরমেটরিতে থাকেন।


চালিতাখালী এলাকার এ্যাপান্ডিসের রোগী কারিমুনের মা শাহিনুর বেগম বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, গরীব মানুষ তাই সরকারি হাসপাতালে এসেছি। কিন্তু এখানেও মেয়েকে অপারেশন বাবদ দুই হাজার টাকা দিয়েছি, অনেক কষ্ট করে।


রোগী আশা শীলের পিতা কার্তিক শীল বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, দুই হাজার টাকা দিয়ে মেয়েকে এ্যাপান্ডিসের অপারেশন করিয়েছে। ঔষধও আমাদের নিজেদের টাকা দিয়ে ক্রয় করতে হয়েছে।


গিমটাকাঠি গ্রামের শ্বাস কষ্টের রোগী চিত্তরঞ্জন সাহা বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, সকালে সাড়ে ৩‘শ এবং রাতে ৩‘শ ৮০ টাকার ঔষধ ক্রয় করেছি। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে যদি এত ঔষধ ক্রয় করতে হয় তা হলে আমরা গরীব মানুষ কোথায় যাব।

পা কাটা রোগী কাওসার শিকদার বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, হাসপাতাল থেকে মাত্র একটি ট্যাবলেট দেয় প্রতিদিন। অন্য সব ঔষধ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে, ৫ দিনে ২৬‘শ টাকার ঔষধ কিনেছি। সরকারি হাসপাতালে টাকা ছাড়া চিকিৎসা হয় না এটাই তার প্রমান।


এসব বিষয়ে সেবিকারা বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, চিকিৎসকরা ব্যবস্থাপত্র দেন, সে অনুযায়ী আমরা ঔষধ সরবরাহ করি। উপর পর্যন্ত আমাদের কোন হাত থাকে না, তাদের নির্দেশেই চলতে হয়।সবই তো আপনারা বোঝেন।


কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ মঞ্জুরুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, আমরা রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত ঔষধ পাই। যা পাই তা রোগীদের দেই।


তবে বাগেরহাট সিভিল সার্জন ডা. জিকে সামসুজ্জামান বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, ‘কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ মঞ্জুরুল আলমের অনিয়মের বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত