ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় প্রস্তুত পিরোজপুর

পিরোজপুর প্রতিনিধি

আপডেট : ০৫:৫০ পিএম, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০১৯ | ৬৮১

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে পিরোজপুর জেলা প্রশাসন। পিরোজপুর জেলায় ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় ১৯৩ টি সাইকোন শেল্টার সহ বিভিন্ন প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক আবু আলী মো: সাজ্জাদ হোসেন।

জেলা প্রশাসন থেকে ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় পিরোজপুর জেলায় সকল সাইকোন সেল্টার গুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে প্রস্তুত সহ আশ্রয় স্থলে জনগণকে আনার সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় জনগণকে সচেতন ও সর্তক করতে জেলা তথ্য অফিস ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করার নিদেশ দেয়া হয়েছে। জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি এন সরফরাজ জানান, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের জন্য ইতিমধ্যেই ১ হাজার ২২৫ জন সেচ্ছাসেবক তাদের প্রস্তুতিমুলক কার্যক্রম শুরু করেছে। সুন্দরবন সংলগ্ন মাঝের চর এলাকায় সিপিসির স্বেচ্ছা সেবকরা হাত মাইক দিয়ে মানুষকে সতর্ক করার পদক্ষেপ নিয়েছে। লাল পতাকা টানিয়ে মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে। ৮নং বিপদ সংকেত দেখা দিলেই সাথে সাথে মানুষ জনকে সাইকোন শেল্টারে দ্রুত আনার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক আবু আলী মো: সাজ্জাদ হোসেন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, সব ধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া ৬৫ টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি জেলার ৭টি উপজেলায় ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে এবং প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৯৩টি সাইকোন শেল্টার। দুর্যোগ পরবর্তী সময় মোকাবেলার জন্য দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ২০০ টন চাল, ২০০০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ পেয়েছে জেলা প্রশাসন। জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য তথ্য অফিস ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে বলেও সভা থেকে জানানো হয়।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফনীর ভয়াবহতা সম্পর্কে অবগত নয় উপকূলের অনেক মানুষ। দরিদ্র শ্রেণির মানুষের দুর্যোগকালীন সময় মোকাবেলার জন্য নাই পর্যাপ্ত সক্ষমতা। খাবার পানি বিশুদ্ধ করার জন্য পানি বিশুদ্ধ করন ট্যাবলেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া ইতোমধ্যে জেলা ও উপজেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত