তোর বোনকে জবাই করে মেরে ফেলেছি,আমি ছেলেমেয়ে নিয়ে চলে গেলাম!

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

আপডেট : ১১:৫৩ এএম, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০১৯ | ২৯৬৮

তোর বোনকে জবাই করে মেরে ফেলেছি। বাড়িতে যাইয়া দ্যাখ। আমি আমার ছেলেমেয়ে নিয়া চলে গেলাম! স্ত্রী লাকি বেগমকে হত্যার করে পালিয়ে যাবার সময় বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তার ভাইকে এভাবেই মোবাইল ফোনে জানায় ঘাতক স্বামী নূরুল আমিন হাওলাদার (৩৫)। নৃসংশ এ হত্যাকন্ডটি ঘটেছে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার আমড়াগাছিয়া বাজার সংলগ্ন সাতঘর এলাকায়।

পুলিশ সকাল ৬টার দিকে নিজ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকা লাকী বেগমের (২৮) গলা কাটা রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। পারিবারিক কলহে এ হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে পুলিশ ধারণা করছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রায় আট বছর আগে উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের আ. হক হাওলাদারের ছেলে নূরুল আমিনের সাথে ধানসাগর ইউনিয়নের আমড়াগাছিয়া কালিবাড়ি গ্রামের খলিল হাওলাদারের মেয়ে লাকির বিয়ে হয়। বিয়ের পর শ্বশুর তার ভারতের কেরেলায় ভাঙ্গারির ব্যবসায় সহযোগীতার জন্য জামাইকে সেখানে নিয়ে যান। মাঝেমধ্যে নূরুল আমিন দেশে আসলে ও স্ত্রী লাকির সঙ্গে বনিবনা হতোনা। ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকতো।

ঘটনার আগের দিন বুধবার শ্বশুর খলিল হাওলাদার বুঝিয়ে সুজিয়ে দেশে পাঠিয়ে দেন জামাইকে। এর পর বাড়ি এসে স্বামী-স্ত্রী একঘরে থাকলেও ভোররাতের দিকে হত্যাকন্ড ঘটিয়ে জিহাদ (৭) ও জেরিন (২) নামের দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায় নূরুল আমিন।

এ ব্যাপারে শরণখোলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মফিজুর রহমান শেখ বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, ঘাতক নিজেই হত্যার খবর তার স্ত্রীর ভাইকে মোবাইল ফোনে জানায়।


এঘটানায় নিহতের ভাই নূরুল ইসলাম হাওলাদার বাদি হয়ে একজনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামীকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত