চিতলমারীতে কলেজ ছাত্র রুবেল হত্যাকারিদের আটকের দাবী

চিতলমারীতে নিহত কলেজ ছাত্র রুবেল হাওলাদারের (২৫) হত্যাকারীদের আটকের জন্য পুলিশ সুপারের সামনে বিক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে নিহতের গ্রাম, বাড়ি ও ঘটনাস্থল পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় পরিদর্শন করেন। এসময় হত্যাকারীদের আটকের দাবীতে এলাকাবাসী স্লোগান তুলে বিক্ষোভ প্রকাশ করে। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবারকে পুলিশ সুপার শান্তনা দেন।

ঘটনা সম্পর্কে নিহতের চাচা ওসমান হাওলাদার বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, রুবেল হাওলাদার বাগেরহাট সরকারী পিসি কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল। নিহত রুবেল তিন ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয়। তার পিতা মহসীন হাওলাদার ২০১৬ সালে মারা যায়। বাড়িতে মায়ের কাছে থাকতো সে। পড়াশুনার পাশাপাশি সংসারের হাল ধরে রেখেছিল সে। গত বৃহস্পতিবার (০২ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রুবেল হাওলাদারকে একই গ্রামের আজিজ ফকিরের ছেলে লালন ফকির ডেকে নিয়ে যায়। খিলিগাতী বাজারের বটতলায় একটি মাছের ডিপোতে বসে গল্প করতে থাকে। সেখানে কিছুক্ষণ পরে হাজির হয় লালনের ভাই রেজাউল ফকির। তার নিকট মাছের পোনা বিক্রির পাওনা টাকা চায় রুবেল। এক পর্যায়ে রেজাউল ফকির, রাজু ফকির, মিজানুর, মিলন, টিংকু, মিন্টু, লিয়াকত, শওকতসহ তাদের লোকজন রুবেল হাওলাদারকে ক্রিকেটের স্ট্যাম্প দিয়ে পেটানোসহ নির্মমভাবে নির্যাতন করে। রুবেল জ্ঞান হারালে তাকে ফেলে ওরা বীরদর্পে চলে যায়। ভয়ে খিলিগাতী বাজারের কেউ ওদের ঠেকাতে যেতে সাহস পায়নি বলে তিনি জানান। গত শুক্রবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুবেল মারা যায়। শনিবার বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিহতের মৃতদেহ পরীক্ষা-নীরিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।

ওসমান হাওলাদার আরো জানান, ১৯৯৬ সাল হতে ওই হামলাকারীদের সাথে তাদের জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ আছে। পুরনো বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে এই নির্মম নির্যাতন ও হত্যা হয়েছে। নিহতের মা শিরিনা বেগম বাদী হয়ে ১৫ জন আসামীর নাম উল্লেখ করে চিতলমারী থানায় মামলা করেছেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় স্থানীয় বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, ‘ এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। আসামীদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’