রামপাল সরকারি কলেজের

অধ্যক্ষ সাইদুরের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ

রামপাল প্রতিনিধ

আপডেট : ০৫:৩৮ পিএম, শনিবার, ২৫ মে ২০১৯ | ১৪৩৮

রামপাল ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে তিন সদস্য সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি তদন্ত শুরু করেছেন।

রামপাল কলেজ ও উপজেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানায় রামপাল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মজনেয়ার রহমান মজনু দুই বছর পূর্বে অবসরে যাওয়ার পর কলেজের প্রভাষক সাইদুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এর দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এনিয়ে কলেজের প্রভাষক ও অন্যান্য স্ট্যাফদের মধ্য বেশ বিছুদিন ধরে আলোচনা সমালোচনা চলছিল। এক পর্যায়ে কলেজের গভার্নিং বডির সভাপতি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আঃ খালেকের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার কুমার পাল, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহাজান মিয়া ও উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলমের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি ইতোমধ্য তদন্ত কাজ শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন বলে জানা গেছে।

নামপ্রকাশ না করে তদন্ত কমিটির একজন সদস্য বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন বিভিন্ন সময়ে পাবলিক পরীক্ষায় আবেদন ফরম পূরণ বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যে অর্থ আদায় হয়েছে তা কোন রশীদে তোলা হয়নি। এছাড়া কলেজের জমি লাগানো, মসজিদ সংস্কার সহ আরও বেশ কয়টি খাতে বড় ধরণের আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। যা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। আমরা তদন্ত কাজ প্রায় শেষ করে এনেছি। অপেক্ষা করুন কয়েক দিনের মধ্য সব জানতে পারবেন।

এবিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার কুমার পালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন তদন্ত এখন ও প্রক্রীয়াধীন রয়েছে। আমরা তদন্তের আফডেট সবসময় মন্ত্রী মহোদয়কে অবহিত করছি। তদন্ত কাজ শেষ হলেই বলা যাবে কতটা আর্থিক অনিয়ম হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন বেশকিছুদিন ধরে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল। এটা কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আঃ খালেকের কানেও যায়। তিনি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত কাজ শুরু করেছেন। তদন্ত এখনও চলছে। তদন্ত শেষ হলে জানা যাবে আর্থিক অনিয়ম কতটা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাইদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, এটা কলেজের এন্টারনাল ব্যাপার। নিরীক্ষা চলছে। এতদিন এইচ.এস.সি পরীক্ষা ও ডিগ্রী উপবৃত্তির ঝামেলা ছিল। এখন হিসাব নিকাশ শেষ হলেই দেখা যাবে কি হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত