হাতে পাননি বেতন-বোনাসের টাকা

চিতলমারীতে ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত ছয় শতাধিক শিক্ষক পরিবার

এস এস সাগর,চিতলমারী

আপডেট : ১০:২৬ পিএম, সোমবার, ৩ জুন ২০১৯ | ৩৩৯৫

প্রতিকী ছবি

চিতলমারীতে ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ৬ শতাধিক শিক্ষক পরিবার। ঈদের আগে বেতন-বোনাসের টাকা না পাওয়ায় তাদের নেই ঈদ উৎসব। ফলে এ উপজেলার বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা চরম হতাশায় রয়েছেন। ঈদের আগে ব্যাংকের শেষ কর্মদিবস সোমবার পর্যন্ত কোন শিক্ষকই তাদের বেতন-বোনাস তুলতে পারেনটি।


সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে, চিতলমারী উপজেলায় ৪টি কলেজ, ৩১ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৭ টি মাদ্রাসায় প্রায় ৬ শতাধিক এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন। এ সকল প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-বোনাসের টাকা ঈদের আগেই ব্যাংকে জমা হলেও কোন-শিক্ষক কর্মচারী তা তুলতে পারেননি।


শান্তিখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুধাংশু শেখর রায় বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, সকাল ১১ টায় বেতন বিল জমা দিলেও তা সন্ধ্যা ছয় টা ৫৮ মিনিটে তার হিসাব নম্বরে টাকা জমা হয়। কিন্তু তখন টাকা উঠানোর সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে। এখানে সোনালী ব্যাংকের এটিএম বুথ নেই। ফলে ঈদের পরে ছাড়া কেউই টাকা তুলতে পারবেন না।


বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির চিতলমারী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম এ সোয়েল বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, ঈদের আগে এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের কোন শিক্ষক-কর্মচারী তাদের বেতন-বোনাসের টাকা তুলতে পারেননি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বেতন-বোনাসের বিল জমা দিলেও সোনালী ব্যাংকের গাফেলতির কারণে শিক্ষকরা ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হলেন।


মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অবনী মোহন বসু বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, ‘আমি সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারকে অনুরোধ করে বলেছি অন্তত তিনি যেন মুসলিম শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-বোনাসের টাকা দিয়ে দেন। কিন্তু তিনি ব্যাংকে লোকবল সংকটের দোহাই দিয়ে আমাদের মানবিক অনুরোধটুকুও রাখেননি। আমরা শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে ঘটনার নিন্দা জানাই।’


সোনালী ব্যাংক লিমিটেড চিতলমারী শাখার ম্যানেজার মোঃ হুমায়ুন কবির সোমবার রাত ৮ টায় বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, ‘যারা বেতন বিল জমা দিয়েছেন তাদের হিসাব নম্বরে বেতন চলে গেছে। প্রায় ৮থেকে ১০ টি স্কুলের বেতন-বোনাসের টাকা উত্তোলন হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত