বাগেরহাটে বাজেট নিয়ে রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ীদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া

মামুন আহম্মেদ

আপডেট : ০৬:০৫ পিএম, রোববার, ১৬ জুন ২০১৯ | ৪৯৮

আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষনা পর বাগেরহাটে ব্যবসায়ী ও চেম্বার নেতাদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। প্রস্তাবিত বাজেটের বৃহৎ আকার ও উন্নয়ন পরিকল্পনাকে এক প স্বাগত জানালে ও অপর প তা বাস্তবায়নে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তবে সব ছাপিয়ে ২০১৯-২০ প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানিয়েছেন জেলার উচ্চপদস্থ রাজনৈতিক নেতারা।

বাগেরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি লিয়াকত হোসেন লিটন বাজেটকে জনহিতকর, বাস্তবসম্মত, উন্নয়নমুখী, গণমুখী ও ব্যবসাবান্ধব বলে মনে করে সাধুবাদ জানিয়ে বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট দেশের সুষম উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এ বাজেটে উন্নয়ন , যোগাযোগ ও মানবসম্পদ, স্বাস্থ্য , শিক্ষা ও প্রযুক্তি, পরিবহন ও যোগাযোগ, প্রতিরা, কৃষি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অধিক বরাদ্দ, রফতানিতে গার্মেন্টস পণ্যের ওপর ১ শতাংশ ও কৃষি পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ প্রণোদনা, ১০ শতাংশ হারে কর দিয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল, আবাসন খাত ও হাইটেক পার্কে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ, শিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য ১০০ কোটি টাকার স্টার্টআপ তহবিল, ব্যাংক সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে আনার উদ্যোগ, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ক্যান্সারের ওষুধের দাম কমনোতে এ বাজেট সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করবে, দারিদ্র্য বিমোচন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেন তিনি। এছাড়া মোংলা বন্দর আরো গতিশীল হবে ব্যাবসা বানিজ্যের নতুন নতুন সুযোগ তৈরি হবে যা দেশের অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করবে।

তবে এ বারের বাজেটে যেভাবে,নতুন ভ্যাট আইনে ২.৫ভাগ,৭.৫ভাগ, ১০ভাগ ও ১৫ভাগ বিভিন্ন স্তরে ভ্যাট নির্ধারণ করা হয়েছে তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্র ব্যবসায়ী সমাজ একেবারেই প্রস্তুত নয় বলে মনে করছেন বাগেরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি লিয়াকত হোসেন লিটনসহ চেম্বার ও ব্যবসায়ী নেতারা। তারা বলছেন, এ ব্যাপারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডেরও প্রস্তুতি নেই। তাই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে প্রস্তুতি নিতে হবে। ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ব্যক্তিগত করের ওপর সারচার্জের হার নূন্যতম ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত শূন্য করার সুপারিশ করে, বিষয়গুলো বিশেষ বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রীর কাছে বিশেষ অনুরোধ জানান বাগেরহাটের ব্যবসায়ী ও চেম্বার পরিচালনা পরিষদ।

বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষনা বিষায়ক সম্পাদক ও বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি আহাদ উদ্দিন হায়দার ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, বাজেট জন কল্যান মুখি হয়েছে। যাতে সামাজিক নিরাপত্তা খাতকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। যা প্রান্তিক মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

তবে, প্রস্তাবিত বাজেটকে উচ্চাভিলাষী, লুটপাট ও গণবিরোধী বাজেট আখ্যা দিয়েছেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি এমএ সালাম। তিনি বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, এ বাজেট দরিদ্রকে আরও দরিদ্র ও ধনীকে আরও ধনী করবে। এতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়বে। যার ফলে সাধারণ মানুষের সঞ্চয়ের হার ও ক্রয় মতা কমে আসবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত