ট্রানজিট সুবিধা ও পন্য আমদানী বাড়াতে

মোংলা বন্দর পরিদর্শনে নেপালের রাষ্ট্রদুত

মো. মাসুদ রানা, মোংলা

আপডেট : ০৪:৫৮ পিএম, বুধবার, ৩ জুলাই ২০১৯ | ৬৯৯

ট্রানজিট সুবিধা ও পন্য আমদানী-রপ্তানী বাড়াতে পূণার্ঙ্গ ভাবে মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে উদ্যোগ নিয়েছেন নেপাল। বন্দরে বিদ্ধমান সকল সুযোগ সুবিধা যাচাইয়ে মোংলা বন্দর পরিদর্শন করেছে নেপালের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদুত।

বন্দরের পশুর নদী ও জেটি এলাকা পরিদর্শন শেষে বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে এক বৈঠকে মিলিত হন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদুত মিঃ ধন বাহাদুর ওলি। বুধবার সকাল ১১ টায় বন্দরের সভাকক্ষে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে বৈঠকে বিদ্ধমান সুযোগ সুবিধা উপস্থাপন করেন মোংলা বন্দরের সহকারী ট্রাফিক ম্যানেজার মোহাম্মদ সোহাগ।

এ সময় তার বক্তব্যে জানানো হয়, মোংলা বন্দর ছিল এক সময় অনুন্নত, জাহাজের আগমন ছিল খুবই কম কিন্ত বন্দরে সুযোগ সুবিধা আর পরিধী বেড়ে যাওয়ায় এখন এ বন্দর একটি লাভ জনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। বাড়ছে দেশী-বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজের আগমন। এখানকার জাহাজের সাথে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা অর্ধাহারে অনাহারে দিন যাপন করতেন কিন্ত এখন জাহাজের আগমন বাড়ার সাথে সাথে শ্রমিকদের কর্মচাঞ্চল্যও বেড়ে গেছে।

ভারত,নেপাল ও ভুটারসহ পার্শবর্তী দেশগুলো মোংলা বন্দর ব্যাবহার করার ফলে বাড়ছে আমদানী-রপ্তানীও। তাই গেল অর্থ বছরে মোংলা বন্দরে ৯১২টি দেশী-বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজ আগমন-নির্গমন এবং এখানে পন্য খালাশ হয়েছে। আর কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়েছে ৫৭ হাজার ৭শ’২২ টিউজ। নৌ-পথে ট্রানজিট সুবিধার জন্য ব্যবহার করা হবে মোংলা বন্দর। এ বন্দর থেকে খুলনা, এর পর রোহানপুর তার পর রেন্সাউল হয়ে পন্য নেপালে প্রবেশ করবে। আর সড়ক পথে মোংলা বন্দর হয়ে খুলনা থেকে বাংলাবান্দা, তারপর সিলিগুরি দিয়ে কাকারভিটা হয়ে ট্রানজিট পন্য বহন করা যাবে। ষ্টোরে এক সাথে মোংলা বন্দরে কার পার্কিংয়ের সুবিধা রয়েছে প্রায় দুই হাজার ৫শ টির মতন। এ বন্দরের আমদানী-রপ্তানী বাড়াতে চলমান রয়েছে আউটারবার ড্রেজিং কাজ, রেল প্রকল্প আর নতুন দুটি জেঠি। এর সাথে যোগ হবে পদ্মা ব্রীজের সুবিধা।

এরপর একে একে বন্দরের বিভিন্ন দপ্তর প্রধানগন যুক্তি খন্ডন করেন তাদের শাখায় কিকি সুযোগ সুবিধা নেপালী ব্যবসায়ীদের দেয়া সম্ভব হবে বক্তব্যের মাধ্যমে তা সুন্দরভাবে আলোচনা করে বুঝিয়ে দেন নেপালের রাষ্ট্রদুত ধন বাহাদুরকে। এ সময় বন্দরের কর্মকর্তারা মোংলা বন্দরের বিদ্ধমান সুবিধায় নেপালের ব্যবসায়ীদের মোংলা বন্দর ব্যবহার করার আহবান জানান রাষ্ঠ্রদুতের মাধ্যমে।

গেল অর্থ বছরে ট্রানজিট সুবিধার মাধ্যমে পরিক্ষামুলক ভাবে মোংলা বন্দর দিয়ে নেপাল ৬০হাজার ৩শ’ মেঃ টন পন্য কার্গো হ্যান্ডলিং করে এ দেশটি। নেপাল ট্রানজিট সুবিধা নিয়ে মোংলা বন্দরে পন্য আমদানী বাড়াতে চাইলে বন্দরের নিয়ম কানুন মেনে সকল সুবিধা নেপালের দেয়ার আশ্বাস দেন মোংলা বন্দরের ভারপ্রাপ্ত বন্দর চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন মোহাম্ম্দ আলী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নেপাল এম্বাসির অফিস সেক্রেটারী রিনা ছেত্রী, বন্দরের পরিচালক প্রশাসন গিয়াস উদ্দিন, সচিব-ওহি উদ্দিন, হারবার মাস্টার দুরুল হুদা, মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাহাত মান্নানসহ বন্দরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নেপালের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদুত বলেন, পরিক্ষামুলক ভাবে মোংলা বন্দর দিয়ে কিছু পন্য আমদানী করেছে নেপাল। ভবিষ্যতে বন্দরের ব্যবহার বাড়াতে নেপাল সরকারের দপ্তরে জানাবেন বলে জানান তিনি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত