বাগেরহাটে বিদ্যুতের ৭০ ভাগ গ্রাহক ব্যবহার করছে প্রি-পেইড মিটার

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ০৫:২০ পিএম, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯ | ৬৬৯

বাগেরহাটে ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি. (ওজোপাডিকো)-এর ৭০ ভাগ গ্রাহক এখন স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার ব্যবহার করছেন। অল্প সময়ের মধ্যে অবশিষ্ট গ্রাহকদেরও স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার সংযোগের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এদিকে প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারের ফলে কমেছে বিদ্যুৎ অপচয়। গ্রাহকরাও প্রি-পেইড মিটারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন ঘরে বসে। ব্যবসায়ীরাও খুশি এ মিটার ব্যবহারে। বর্তমানে সংযোগে আগের তুলনায় অর্ধেক খরচে নতুন সংযোগ পাচ্ছে গ্রাহকরা।

বাগেরহাট পৌরসভার ১৫ হাজার ১৭ জন গ্রাহকের মধ্যে ১০ হাজার ৩‘শ গ্রাহককে স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার সংযোগ দেয়া হয়েছে। প্রতিদিনই চলছে এ মিটার স্থাপনের কাজ। পর্যায়ক্রমে শতভাগ গ্রাহককে স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার সংযোগের আওতায় আনা হবে।


তবে বিদ্যুৎ বিভাগকে আধুনিকায়ণের এ প্রচেষ্টায় গ্রাহকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে বাগেরহাটে। অনেক গ্রাহকরা বলছেন, আমাদের বিল বেশি হয়, অনেক সময় রিচার্জের সমস্যা হয়। কেউ কেউ না বুঝে বিভিন্ন ধরণের কথা বলছে। তবে সচেতন গ্রাহক ও ওজোপাডিকো কর্তৃপক্ষ বলছেন স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারে সাধারণ মানুষের যেমন উপকার হচ্ছে তেমনি সরকারও সময়মত রাজস্ব পাচ্ছে।


বাসাবাটি এলাকার গ্যারেজ ব্যবসায়ী শামীম হোসেন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, আগের মিটারের চেয়ে প্রি-পেইড মিটারে বেশি সুবিধা পাচ্ছি। কারণ আমি কত টাকা খরচ করছি, তা নিজেই হিসেব রাখতে পারছি।


দাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, আমার বাসায় ৫টি মিটার আছে। ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে প্রতিমাসে বিল প্রদান নিয়ে চিন্তায় থাকতে হত। কিন্তু প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়া সবাই সচেতন হয়েছে। যে যার মিটারে রিচার্জ করছেন এবং স্বাচ্ছন্দে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন।


বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ, ওজোপাডিকো, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ঘোষ বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার শর্ট সার্কিট জনিত দূর্ঘটনা রোধ করে গ্রাহকের বিদ্যুৎ ব্যবহার নিরাপদ রাখে। পরিবারের বাজেট অনুযায়ী বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়া যায়। ঘরে বসেই মোবাইল এ্যাপস এর মাধ্যমে রিচার্জ করা যায় এ মিটারে। মিটার প্রতিস্থাপনের সময় গ্রাহককে অপারেটিং ম্যানুয়াল প্রদান করায় গ্রাহকগন সহজেই বিদ্যুৎ ব্যবহারের পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারেন। ব্যালান্স শেষ হয়ে গেলে একশত টাকা অগ্রিম ব্যালান্স গ্রহন করতে পারে গ্রাহকরা, যার ফলে টাকা শেষ হলেও বিদ্যুৎ বন্ধ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। এছাড়া সাপ্তাহিক ছুটি, সরকারি ছুটির দিনে এবং অফিস সময়ের পরে (বিকেল ৪টা থেকে পরের দিন সকাল ১০টা পর্যন্ত) মিটারে ব্যালান্স না থাকলেও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে না। নিট বিদ্যুৎ বিলের উপর ১ শতাংশ রিবেট পাওয়ায় গ্রাহকরা লাভবান হচ্ছে। এ মিটার ব্যবহারের ফলে গ্রাহকদের কোন প্রকার বিলম্ব মাশুল গুনতে হচ্ছে না বলে জানান এ কর্মকর্তা।


তিনি আরও বলেন, গ্রাহকের বাসায় ওয়্যারিংয়ের যদি ত্রুটি থাকে এবং নিউট্রাল লাইন যদি কমন থাকে, তবে সেই লাইনের বিল যোগ হবে। অর্থ্যাৎ বিল বেশি দেখাবে। কোন বহুতল ভবনের সব নিউট্রাল যদি এক থাকে, আর্থিংয়ের তার, আইপিএস এর নিউট্রাল, সোলারের নিউট্রাল, জেনারেটরের নিউট্রাল, চেঞ্জওভার নিউট্রাল, যদি মেইন সুইজের নিউট্রালের সংগে থাকে এবং কোন সাইড কানেকশনের নিউট্রাল যদি লোড সাইটের নিউট্রালে থাকে তবে বিল বেশি আসতে পারে। সেদিকে গ্রাহকদের সতর্ক থাকতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত