স্টিমারের কেবিনে স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা, স্বামী আটক

মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি

আপডেট : ০২:০৭ পিএম, মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট ২০১৯ | ১৩৩৪

মোরেলগঞ্জে এমভি বাঙ্গালী স্টিমারের কেবিনে স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে শেষমেস নিজের জীবন বাাঁচতে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন ডালিম (৩০) নামের এক গার্মেন্টস কর্মী। স্থানীয়রা জেলেদের সহযোগীতায় ডালিমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। সাবিনা বেগমকে (২২) আহত অবস্থায় উদ্ধার করা মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ডালিম কালিকাবাড়ি গ্রামের বাদশা হাওলাদারের ছেলে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।



জানা গেছে, গাজীপুরে একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকুরি করতেন ডালিম। ওই সময় একই ফ্যাক্টরিতে পরিচয় হয় শেরপুর উপজেলার দড়িখাগা গ্রামের আব্দুস ছত্তার শেখের মেয়ে সাবিনার সাথে। পরকীয়ায় জড়িয়ে ডালিম নিজের স্ত্রী, সন্তানদের কথা গোপন রেখে বিয়ে করেন তাকে। স্ত্রী সাবিনার দাবিতে ঈদের ছুটিতে শনিবার বিকেলে তাকে নিয়ে স্টিমারযোগে রওয়ানা হন মোরেলগঞ্জের উদ্দেশ্যে।



রবিবার বেলা ২টার দিকে মোরেলগঞ্জ স্টেশনে পৌছানোর প্রায় আধাঘন্টা পূর্বে সন্ন্যাসী এলাকায় থাকাকালে কেবিনের মধ্যে বসে সাবিনার গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন ডালিম। এ সময় সাবিনা চিৎকার দিলে অন্যান্য যাত্রীরা কেবিনের সামনে জড়ো হয়ে দরজা ধাক্কাতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে দরজা খুলে দৌড়ে স্টিমারের ছাদে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে ডালিম। কিন্তু সে ব্যর্থ হয়। জেলেদের সহযোগীতায় স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।



সাবিনা বেগম বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, ‘ডালিম আমার সাথে প্রতারণা করেছে। এক পর্যায়ে হত্যা করতে চেয়েছে। আমি আর ওর সাথে সংসার করতে চাইনা। সে আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যেই বাঙ্গালীর স্টিমারে কেবিন রিজার্ভ করেছিল তা আমি বুঝতে পারিনি। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই’।



এ বিষয়ে থানার ওসি (তদন্ত) ঠাকুর দাশ মন্ডল বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, সাবিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে এমন অভিযোগে মামলা হয়েছে। ডালিমকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। সাবিনাকে তার অভিভাবকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত