শীত শ্রমিকদের জন্য অভিশাপ!

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

আপডেট : ০৭:৫৫ পিএম, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ | ৮৩৫

উপকূলীয় উপজেলা বাগেরহাটের শরণখোলায় পৌষালী বৃষ্টির পর হাড় কাঁপানো শীত বইছে। মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। বাজারঘাটে লোকসমাগম অনেকটাই কমে গেছে। বেশ ভোগান্তিতে পড়েছে ছিন্নমূল ও নি¤œ আয়ের মানুষ। শীত নিবারণে পুরনো পোষাকের দোকানে সবশ্রেণির মানুষের ভীড় বেড়েছে এবং কেনাকাটাও জমে উঠেছে।

উপজেলা সদরের রায়েন্দা পাইলট হাইস্কুল মাঠে মৌসুমী শীতপোষাক বিক্রেতা আ. রাজ্জাক তালুকদার ও লোকমান বিন বাদশা জানান, এক সপ্তাহ ধরে প্রচন্ড শীত পড়ছে। তাছাড়া বৃষ্টির পর শীতের তীব্রতা আরো বেড়েছে। একারণে বিক্রিও ভারো হচ্ছে।

রায়েন্দা বাজারের পূর্বমাথায় বলেশ্বর পাড়ে বেড়িবাঁধের পাশের বিধবা মানছুরা বেগম (৪৫), রাজৈর এলাকার সেলিনা বেগমসহ (৫০) ছিন্নমূল অনেকেই জানান, শীতে তাদের দুর্ভোগের আর শেষ নেই। নদীর পাড়ের ভাঙা ঘরে ছেলেমেয়ে নিয়ে থাকতে খুবই কষ্ট হচ্ছে তাদের।

রায়েন্দা বাজারের ঘাট শ্রমিক মো. সলেমান শিকদার, শহিদুল ইসলাম ও ফিরোজ শেখ জানান, শীতের তীব্রতায় হাত-পা খোলা রেখে কাজ করা যাচ্ছেনা। কাজ করতে না পারলে তাদের সংসার চলেনা। তারা জানান, শীত শ্রমিকদের জন্য একপ্রকার অভিশাপ!

রায়েন্দা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন বলেন, শীতের শুরুর দিকে উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে চারটি ইউণিয়নে প্রায় তিন হাজার কম্বল ও শীতের পোষাক বিতরণ করা হয়েছে যা জনসংখ্যার তুলনায় খুবই কম। আরো শীত বস্ত্রের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে বলা হয়েছে।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, শীত বস্ত্রের জন্য জেলায় চাহিদা পাঠানো হয়েছে। এলেই দ্রুত তা শীতার্তদের মাঝে বন্ট করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত