বঙ্গোপসাগরে দুই ফিশিং ট্রলারসহ ২৬ ভারতীয় জেলে আটক

বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে সামুদ্রিক মাছ শিকারের অভিযোগে আবারো দুইটি ফিসিং ট্রলারসহ ২৬ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে মোংলা নৌ-বাহিনী।

শুক্রবার গভীররাতে বঙ্গোপসাগরের গহীনে বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে নৌবাহিনীর নিয়মিত টহলরত অবস্থায় “বিএনএস কপোতাক্ষ” জাহাজে থাকা নৌ-নাবিকরা ওই জেলেদের ধাওয়া করে ট্রলারসহ আটক করে।

এনিয়ে গত মোট ৬দফায় ৯টি ফিশিং ট্রলারসহ ১০৩জন ভারতীয় জেলে নৌ-বাহিনীর হাতে আটক হয়। শনিবার সন্ধ্যায় আটককৃত ভারতীয় জেলেদের মোংলা থানায় হস্তান্ত করে নৌ-বাহিনী। পরে এ সকল জেলেদের বিরুদ্ধে ১৯৮৩ সালের সামুদ্রীক মৎস্য অধ্যাদেশের ২২ ধারায় মামলা দায়ের করে নৌ-বাহিনীর সদস্যরা।

নৌ-বাহিনীর বরাত দিয়ে মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল বাহার চৌধূরী জানান, শুক্রবার রাতে বানৌজা কপোতাক্ষ জাহাজ বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়ার আনুমানিক ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিম কোন এলাকায় নৌ-বাহিনী টহলদানকালে বেশ কয়েকটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলার বাংলাদেশের সিমানায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করতে দেখে।

এসময় বাংলাদেশের নৌ-সেনারা তাদের ধাওয়া করে আটক করতে গেলে ট্রলার ও জাল নিয়ে তারা দ্রুত তাদের ভারতের সিমানায় চলে যায়। এসময় অভিযান চালিয়ে দুইটি ট্রলার এফবি সঙ্খপ্রদীপ ও মা-মঙ্গলচন্ডী নামক ভারতীয় জেলেসহ ওই ট্রলার দুটিকে আটক করতে সক্ষম হয়।

সাগর থেকে শনিবার সন্ধ্যায় তাদের মোংলা থানায় আনা হয়েছে। রোববার আটক জেলেদের বাগেরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হবে বলেও জানায় পুলিশের এ কর্মকর্তা। এ সকল জেলেরা ভারতের দক্ষিন চব্বিশ পরগনার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, এর আগেও একই অভিযোগে দেশীয় জলসীমায় প্রবেশ করার কারনে গভীর সাগর থেকে গত ১ অক্টোবর ১৫ জন, ৪ অক্টোবর ২৩ জন ও ১৪ অক্টোবর ১১ জন, ২২ অক্টোবর ১৪ জনকে এবং ১০ ডিসেম্বর কোস্টগার্ড বাহিনী ১৪জনসহ ভারতীয় জেলেকে আটক করা হয়। এ নিয়ে মোট ৭টি ট্রলারসহ ৭৭ ভারতীয় জেলে আটক করা হয়েছে।

আজ আরো ২টি ট্রলার ও ২৬ ভারতীয় জেলে আটক হয় নৌ-বাহিনীর হাতে। আটক জেলেরা বর্তমানে বাগেরহাট জেল হাজতে আছে বলেও জানায় পুলিশের এ কর্মকর্তা।