২১ শে আগস্টে আহত জগলুর পরিবারের মানবেতর জীবন

বিশেষ প্রতিনিধি

আপডেট : ০৯:১০ এএম, সোমবার, ২১ আগস্ট ২০১৭ | ১৩১৩

২১ শে আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এ আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ১৩ বছর পার হলেও অনেক পরিবারের খোজ রাখা হচ্ছেনা। ওই পরিবারগুলো এখন মানবতের জীবন-যাপন করছে।

২০০৪ সালের একুশে আগষ্ট এই দিনে গ্রেনেড হামলায় সেই সময়ের বিরোধী দলের নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেও নিহত হন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইভি রহমানসহ ২৪ জন। গুরুতর আহত হন অসংখ্য মানুষ। সেই দিনে ওই হামলার স্বীকার বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার চিংড়াখালী গ্রামের সৈয়দ সুলতান হোসেনের ছেলে তৎকালীন স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৈয়দ জগলুল হোসেন সবুজ।

বোমার আঘাতের বোঝা বয়ে বেড়াতে বেড়াতে হঠাৎ ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট ঢাকা- মাওয়া সড়কের মোল­াহাট উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হন।

সৈয়দ জগলুল হোসেনের বাবা ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগে যুক্ত হন। পরে তিনি ১৯৭০ সালে রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে এবছর বার্ধক্যজনিত কারনে অবসরে আছেন। তবে তার বড় ভাই সৈয়দ ফেরদৌস হোসেন পান্না বর্তমানে ওই ইউনিয়নের যুগ্ন সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামী পরিবার হিসাবে খ্যাত ওই পরিবারের খোজ এদিনেও কেউ নেয়নি।

২১ আগস্টে আহত সৈয়দ জগলুল হোসেন সবুজের মৃত্যুর পর রেখে যাওয়া দুটি সন্তান সৈয়দা জারিন রোশনী (১০) ও সৈয়দ নাকিব ইকবাল (৮)কে নিয়ে তার স্ত্রী ফিরোজা সুলতানা ছোট একটি বেসরকারী চাকুরী নিয়ে জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।

ছাত্র জীবন থেকে ছাত্রলীগ করা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অনুগত এই সাহসি সন্তান আজ হারিয়ে গেছেন। তার পরিবারটি আজ যে কত যন্ত্রনা নিয়ে বেঁেচ আছেন তার খোজ কেউ নেয়না।

সৈয়দ জগলুল হোসেন সবুজের স্ত্রী ফিরোজা সুলতানা বলেন, আমার স্বামী আজ আমাদের কাছে নেই, কারো উপরে আমার কোন ক্ষোভও নেই। তবে আমরা যে কতটা অসহায় ভাবে আছি তার খোঁজ কেউ রাখেনি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত