বিশ্ব ভালবাসা দিবসে চন্দ্র মহলে ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড়

জি.এম. মিজানুর রহমান

আপডেট : ০৪:১৩ পিএম, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০ | ৯১০

বিশ্ব ভালবাসা দিবসে চন্দ্র মহলে ছিল দর্শনার্থীদৈর উপচে পড়া ভীড়। গত ১৪ ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক ভালবাসা দিবসে এ ভীড় লক্ষ করা যায়।

জানা যায়, বাগেরহাট সদর উপজেলার চন্দ্রমহলে বিভিন্ন সময়ে ও বিভিন্ন দিবসে দর্শনার্থীরা ভ্রমণে আসেন। বিশেষ করে শীতের মৌসুমে শিক্ষা সফরে দর্শনার্থীদের ব্যাপক সমাগমন ঘটে। এ ছাড়া স্বাধীনতা দিবস ,বিজয় দিবস, মাতৃভাষা দিবস, পহেলা বৈশাখ, বিভিন্ন পূজার উৎসব ও ঈদ উৎসবসহ বিভিন্ন দিবস ও উৎসব উপলক্ষে চন্দ্র মহল পরিণত হয় লোকারণ্য উৎসবে। এ সকল দিনে সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত চন্দ্রমহলে লক্ষ করা যায় উপচে পড়া ভীড়। বিশ্ব ভালবাসা দিবসে তরুন প্রজন্মের দর্শনার্থীদের সমাগম ঘটে সবচেয়ে বেশি। এ বছরও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।

দিবসটি শুক্রবার হলেও দর্শনার্থীদের উদ্যম কমেনি একটুও। গতকাল সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শুধু চন্দ্র মহল নয়, আশেপাশের এলাকাও ছিল লোকে লোকারণ্য। বিকালে চন্দ্র মহল পরিদর্শন গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়ক থেকে চন্দ্র মহল প্রবেশের একমাত্র ১কি.মি রাস্তাটি দর্শনার্থীদের দখলে। ধাক্কাধাক্কি করে দর্শনার্থীরা যাতায়াত করছে। মোটর সাইকেল বা ভ্যান যোগে যাতায়াতকারী দর্শনার্থীরা পড়েছিল বিপাকে। এক জায়গায় দীর্ঘ সময় আটকে থাকতে হয়েছিল এদের অনেককেই। তারপরও অনেক কষ্ট করে ভাঙ্গা রাস্তাটুকু অতিক্রম করে পৌছায় এক বিনোদন মঞ্চে।

দর্শনার্থীদের সমাগমে চন্দ্রমহলের আশে পাশে বসেছিল বিভিন্ন ধরণের দোকান। দর্শনার্থীরা সেখানে গিয়ে দেখতে পান কয়েকটি মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। প্রধান ফলক পেরিয়ে সামনে যেতেই তাদের চোখে পড়ে সমতল ভুমিতে অবস্থিত পাহাড় আকৃতির পানি ফোয়ারা যা দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে। তারপর ভ্রমণ পিপাসুদের চোখ পড়ে সেই আকাঙ্খিত চন্দ্রমহলের দিকে। এক মুনমুগ্ধকর জলরাশির মধ্য দিয়ে তৈরীকৃত সিড়ি বেয়ে প্রবেশ করতে হয় চন্দ্রমহলের মূল ঘরে। সিড়ি দিয়ে হেটে যাবার সময় সিড়ির দু’পাশে কাঁচ লাগানো থাকায় চোখে পড়বে মাছের সাঁতার কাটার দৃশ্য।

মহলে উপরে ১ টি বড় গম্বুজসহ মোট ৫ টি গম্বুজ এবং সামনের এক প্রান্তে ১ টি উচু টাওয়ার রয়েছে। মহলটি যে জমির উপর নির্মিত তার চারিদিক বেষ্টিত রয়েছে প্রায় ৬শ’ নারিকেল গাছ। তাছাড়া এখানে দেখা যাবে বিভিন্ন দেশ থেকে আনীত নানা ধরনের পাখি এবং দেশী-বিদেশী ফলজ বৃক্ষ। এ ছাড়া রয়েছে প্রজাপতির ফার্ম। প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থীর ভিড়ে মুখরিত হয় এ মহল। এখানে সব ধরণের সব বয়সী দর্শনার্থীদৈর লক্ষ করা যায়। অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে এসেছেন। ছোট বাচ্চাদের নিয়ে বিনোদনের সহিত সময় কাটানোর জন্য এসেছেন। অনেক দূর দরন্ত থেকেও বাস নিয়ে এসেছেন অনেক বহর। দর্শনার্থীরা অনেক আনন্দ পেয়েছেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত