লুটপাটের বর্ণনা দেওয়া

চিতলমারীতে গৃহবধুকে গলাকেটে হত্যা’র অভিযোগ

চিতলমারী প্রতিনিধি

আপডেট : ০৫:২০ পিএম, বুধবার, ১ এপ্রিল ২০২০ | ২৫১৬

বাগেরহাটের চিতলমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুটি বসত বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা বর্ণনা দেওয়া গৃহবধু ইতি বেগমকে (২০) গলা কেটে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। এমন অভিযোগ করেছেন নিহতের স্বজনেরা।

বুধবার (০১ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার কুনিয়া গ্রামে স্বামীর ঘরে তার গলাকাটা মরদেহ পাওয়া যায়। ইতি বেগমের ভাসুর আমিনুর ইসলাম মীরের ১২ বছর বয়সী ছেলে সাগর ইসলামও নিঁখোজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই পরিবারের লোকেরা। হত্যার খবর শুনে চিতলমারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। ইতি বেগম কুনিয়া গ্রামের সদর আলী মীরের ছেলে জাহিদুল মীরের স্ত্রী। মাত্র চার মাস আগে ইতির বিয়ে হয়েছিল।

সোমবার (৩০ মার্চ) দুপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে সদর আলী মীরের দুটি বসত বাড়ি ভাংচুর, লুটপাট ও বাড়িতে থাকা নারীদের মারধর করে প্রতিপক্ষরা। ওই পরিবারের গরু, ছাগল, হাস-মুরগি, কবুতরসহ সবকিছু লুটপাট করেছে হামলাকারিরা এমন অভিযোগ করেছে পরিবারের লোকেরা। বিভিন্ন জায়গায় ধর্ণা দেওয়ার পরে মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) রাতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে চিতলমারী থানায় মামলা দায়ের করেন সদর আলীর পুত্রবধু সানজিদা বেগম।

সানজিদা বেগম বাগেরহাট২৪কে বলেন, প্রতিপক্ষরা আমাদের বাড়িতে লুটপাট ও ভাংচুর করে। স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকাসহ ৮টি গরু, ১০ টি ছাগল, শতাধিক কবুতরসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক মালামাল লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। এরপর থেকে হামলাকারীরা হুমকী-ধামকী দিয়ে আসছিল।

মঙ্গলবার রাতে থানায় মামলা দায়েরের পর আসামীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়। তারা পরিকল্পিতভাবে আমার দেবরের স্ত্রীকে হত্যা করেছে। আমার ভাসুরের ছেলে সাগরকে খুঁজে পাচ্ছি না। হামলার পর থেকে আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না।

নিহত ইতি বেগমের ননদ সৈয়দা সুলতানা বেগম বাগেরহাট২৪ কে বলেন, আমাদের বাড়িতে হামলার পর ভাংচুর করে এলাকার ২৫-৩০ জন যুবক। আমাদের বাড়িতে থাকা ভাইপো ও ভাইয়ের বউয়ের মুখে হামলার ঘটনা শুনে আমরা ৯৯৯ কে ফোন দেই। ৯৯৯ স্থানীয় থানা পুলিশের সাথে কানেক্ট করিয়ে দেয়। তারা আবারও তান্ডব চালিয়ে আমাদের বাড়ি থেকে সব কিছু লুট করে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার রাতে মামলা দায়েরের পরে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটায় বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এই নারী।

এ ব্যাপারে চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শরিফুল হক বাগেরহাট২৪কে বলেন, ইতি বেগম ও তার ভাসুরের ছেলে সাগর ইসলাম বাড়িতে ছিল। রাতের কোন একসময় ইতি বেগমকে হত্যা করা হয়। দুপুরে আমরা মরদেহ উদ্ধার করি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত