অবশেষে থানায় মামলা, গ্রেপ্তার নেই

বাগেরহাটে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য হ্যাপি বড়ালের মেয়ে অদিতি বড়ালের উপর হামলার ঘটনার অবশেষে থানায় মামলা হয়েছে। রোববার গভীর রাতে সংসদ সদস্য হ্যাপি বড়াল বাদী হয়ে বাগেরহাট মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীর বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে পুলিশ জড়িতদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে বলে দাবি করেছে।

১৬ ডিসেম্বর শনিবার শহরের আমলাপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে মহিলা পরিষদ আয়োজিত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান থেকে সন্ধ্যায় শালতলাস্থ বাসায় ফেরার পথে হ্যাপি বড়ালের মেয়ে অদিতি বড়ালকে অজ্ঞাত যুবক ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অদিতি বড়াল ঢাকায় অবস্থিত লন্ডন কলেজ অব স্ট্যাডিজ নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এলএলবি সম্পন্ন করে ¯œাতকোত্তর করছেন।

বাগেরহাট মডেল থানার ওসি তদন্ত ফকির পান্নু মিয়া বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, আমরা মামলাটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করেছি। মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছি। এই হামলার সাথে জড়িতদের ধরতে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। খুব শিগগির তাদের সনাক্ত করে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হবে। এমপির পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে তার বাড়িতে সার্বক্ষনিক পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়, ২০০০ সালের ২০ আগষ্ট প্রকাশ্য দিবালোকে নারী সাংসদ হেপী বড়ালের স্বামী আওয়ামীলীগ নেতা কালিদাস বড়ালকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ওই ঘটনায় দীর্ঘ একযুগ পরে জড়িতদের কয়েকজনকে আদালত মৃত্যুদন্ড, যাবজ্জীবন সাজা দেয়। এছাড়া বেশ কয়েকজনকে খালাস দেয় আদালত। নিন্ম আদালতে তিনি ন্যায় বিচার পাননি দাবি করে রায়ের পর তিনি যাবজ্জীবন ও খালাসপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন। এতে ক্ষুব্দ হয়ে খালাস ও দন্ডপ্রাপ্তরা সংঘবদ্ধ হয়ে এমপির পরিবারকে হত্যার পরিকল্পনা করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

এদিকে হ্যাপি বড়ালের মেয়ের উপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের খুজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন, সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ কামরুজ্জামান টুকু।