কচুয়ায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য: বিপাকে কর্মহীন মানুষ

শুভংকর দাস বাচ্চু,কচুয়া

আপডেট : ০৪:২৫ পিএম, সোমবার, ২৭ এপ্রিল ২০২০ | ২৭৬৮

ফাইল ফটো

করোনা ভাইরাসের মহামারি ও রমজানকে সামনে রেখে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য। এতে কচুয়া উপজেলার কর্মহীন, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছে।

জানাগেছে, উপজেলা সদর, সাইনবোর্ড, ভাষা, গজালিয়া, বাধাল বাজার সহ ছোট-খাট সকল সাপ্তাহিক হাট ও বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় মুদিদোকান সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকার সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে করোনা ভাইরাসের প্রর্দুভাব দেখিয়ে ডাল, তেল, ছোলা, জিরা, ধুনিয়া, পিয়াজ, রসুন সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মুল্য কেজি প্রতি ১০ থেকে ৫০ টাকা এবং চালে কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০টাকা বেশিতে বিক্রয় করছে। অধিকাংশ ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে নেই পন্যের মূল্য তালিকা দু‘একটি দোকানে অস্পষ্ট করে লেখা থাকলেও তা বলা হয় এটা পাইকারি মূল্য।

আবার অনেক সময় বলে এটা পূর্বের মূল্য বর্তমানে বেড়ে গেছে। বাজারের দ্রব্যেমূল্যের উর্দ্ধগতিতে কর্মহীন হতদরিদ্র, দিনমজুর, শ্রমজীবি ও নিম্ন মধ্যম আয়ের মানুষের ক্রয় মতা নাগালের বাইরে চলেগেছে। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের দেখলে সামাজিক দুরত্বের কথা বলে ক্রেতাদের সরিয়ে দিয়ে বিক্রয় বন্ধ করে দেয়। তবে তরি-তরকারির বাজার কিছুটা স্বাভাবিক আছে।


কয়েক জন ক্রেতা বলেন, বাজারে ৭০ টাকা মাঝারি মুসুড়ির ডাল এখন ৯০টাকা, ৪০ টাকার পিয়াজ ৫৫ টাকা, এবং ২০ টাকার আলু ২৫ টাকা কেজি দরে ক্রয় করতে হচ্ছে। ঢিলেঢালা বাজার মনিটরিং ব্যবস্থাপনার কারনে ব্যবসায়ীরা বাজারে সকল জিনিসের দাম আগের তুলনায় বাড়িয়ে বিক্রয় করছে।

মুদি দোকান দার রঞ্জন দাস বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন,পাইকারি দোকান থেকে আমাদের বেশি টাকায় কিনতে হচ্ছে, আবার পরিবহন খরচও বেশি লাগছে। একারনে বাজারে সকল মালে দাম একটু বেশি। আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আমাদের তো কিছু করার নেই।


উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজিৎ দেবনাথ বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন সাপ্তাহিক হাট ও বাজারে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বাজার দর নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করছি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত